সিঙ্ঘু সীমানায় কৃষকদের আন্দোলন। —ফাইল চিত্র।
আন্দোলনের জন্য মহাসড়ক অবরুদ্ধ করা যাবে না। সাধারণ মানুষের কোনও সমস্যাও তৈরি করা যাবে না। সোমবার পঞ্জাবের কৃষক নেতা জগজিৎ সিংহ দাল্লেওয়ালকে এ কথা জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভূঞার বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করা গণতান্ত্রিক অধিকার। তবে সেটি দায়িত্বশীল ভাবে করতে হবে।
সংযুক্ত কিষান মোর্চা (অরাজনৈতিক)-এর নেতা দাল্লেওয়াল। ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের বিষয়ে পঞ্জাবের কৃষকদের দাবিদাওয়া নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। গত ২৬ নভেম্বর বেশি রাতের দিকে (সোম ও মঙ্গলবারের মধ্যবর্তী সময়ে) পঞ্জাব-হরিয়ানার খানাউরি সীমানার কাছে আন্দোলনরত অবস্থায় তাঁকে আটক করে পুলিশ। পরের দিন সকাল থেকে তাঁর ‘আমরণ অনশন’ কর্মসূচি শুরুর কথা ছিল। কিন্তু পুলিশ তাঁকে আটক করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে ছাড়া পেয়ে আবার প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু করেন দাল্লেওয়াল।
শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, কৃষকদের অভিযোগগুলি আদালতের নজরে রয়েছে এবং এটি বর্তমানে বিচারাধীন বিষয়। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, গণতান্ত্রিক পরিকাঠামোয় যে কেউ শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করতেই পারেন। কিন্তু অন্যের অসুবিধা করা চলবে না। পঞ্জাব-হরিয়ানার মাঝে খানাউরি সীমানা যে পঞ্জাবে জনজীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঞ্চল, তা-ও জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, প্রতিবাদ ঠিক না ভুল, তা নিয়ে আদালত কোনও মন্তব্য করতে চাইছে না। তবে পঞ্জাবে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চললে তা আইন মেনে চালাতে হবে এবং কারও অসুবিধা করা যাবে না।
পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পর গত শুক্রবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান দাল্লেওয়াল। পঞ্জাব পুলিশের বিরুদ্ধে বেআইনি ভাবে আটক করার অভিযোগ তুলে সেই দিনই সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন তিনি। সোমবার সেই মামলাটি ওঠে বিচারপতি কান্ত এবং বিচারপতি ভূঞার বেঞ্চে। ওই মামলায় এখনই কোনও পদক্ষেপ করেনি শীর্ষ আদালত। তবে আদালত সতর্ক করে দিয়েছে, আন্দোলনের জন্য যাতে কারও সমস্যা না হয়।