Supreme Court

Disha Encounter: ঠান্ডা মাথায় খুন করেছিল পুলিশ! ‘দিশা সংঘর্ষ’ নিয়ে বলল সুপ্রিম কোর্টের কমিশন

২০১৯ এর নভেম্বরে হায়দরাবাদের শামশাবাদে ২৬ বছরের এক পশু চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় তোলপাড় হয়েছিল গোটা দেশ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২০ মে ২০২২ ১৫:৫১
Share:

ফাইল ছবি।

দু’বছর আগে গোটা দেশে তোলপাড় ফেলে দেওয়া হায়দরাবাদে ‘দিশা এনকাউন্টার’কে ভুয়ো সংঘর্ষ বলে জানাল সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গঠিত তিন সদস্যের শিরপুরকর কমিশন। দোষী পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে রিপোর্টে।

২০১৯ এর নভেম্বরে হায়দরাবাদের শামশাবাদে ২৬ বছরের এক পশু চিকিৎসককে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগ ওঠে চার জনের বিরুদ্ধে। তা নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল গোটা দেশ। তার পরই গুলিবিদ্ধ হয়ে তাঁদের মৃত্যু হয়। পুলিশের বক্তব্য ছিল, অভিযুক্তরা পালাতে গিয়ে সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়ে। গুলিতে মৃত্যু হয় তাঁদের। এ বার সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত শিরপুরকর কমিশন তার রিপোর্টে স্পষ্ট বলল, সে দিনের সংঘর্ষ ছিল সম্পূর্ণ ভুয়ো। খুনের সংকল্প নিয়ে পুলিশ যাঁদের উপর গুলি চালিয়েছিল, সেই চার জনের মধ্যে তিন জনই ছিল নাবালক।

Advertisement

২০১৯-এর ২৭ নভেম্বর ২৬ বছরের এক পশু চিকিৎসককে অপহরণ করা হয়। তার পর তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। নিগৃহীতার দেহ হায়দরাবাদের ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে একটি নির্জন জায়গায় পুড়িয়ে দেওয়া হয়। সেখান থেকেই তাঁর পোড়া দেহের অংশ উদ্ধার করে পুলিশ। তদন্তে মহম্মদ আরিফ, চিন্তাকুন্তা চেন্নাকেশভালু, জলু শিবা এবং জলু নবীনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার পরই অভিযুক্তদের নিয়ে অকুস্থলে যায় পুলিশ। পুলিশ দাবি করেছিল, সেখানেই পালানোর চেষ্টা করে ওই অভিযুক্তরা। পুলিশের বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে তাদেরই উপর গুলিও চালানোর দাবি করা হয়েছিল। পুলিশের দাবি ছিল, পাল্টা গুলিতে চার জনের মৃত্যু হয়।

এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসার পরই একটি অংশ পুলিশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে ওঠেন। আবার অন্য একটি অংশ আইন-আদালতকে পাশ কাটিয়ে পুলিশ ‘ট্রিগার-হ্যাপি’ হয়ে উঠছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে। সুপ্রিম কোর্ট এই ঘটনায় তিন সদস্যের একটি কমিশন গড়ে দেয়। সুপ্রিম কোর্টেরই অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শিরপুরকরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিশন তদন্ত করে শুক্রবার প্রধান বিচারপতি এন ভি রমণা, বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং বিচারপতি হিমা কোহলীর বেঞ্চে রিপোর্ট জমা দেয়। কমিশন রিপোর্টে বলেছে, দোষী ১০ পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে খুনের মামলার রুজু করতে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement