পড়ুয়া পেটানোর এই ছবি ছড়িয়েছে টুইটারে।
দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া ও আলিগড়ের মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের উপর পুলিশি নিগ্রহে হস্তক্ষেপের আর্জি শুনতে রাজি হল সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার এ নিয়ে শুনানি হবে। কিন্তু তার আগে ‘দাঙ্গা’ থামাতে হবে বলে শর্ত দিলেন প্রধান বিচারপতি শরদ অরবিন্দ বোবডে।
রবিবার রাতে জামিয়া ও আলিগড়ে পুলিশি অভিযান নিয়ে সোমবার সকালেই প্রধান বিচারপতির দ্বারস্থ হন ইন্দিরা জয়সিংহ, কলিন গঞ্জালভেসরা। প্রধান বিচারপতি জানিয়ে দেন, ‘‘পড়ুয়া বলেই কেউ আইন-শৃঙ্খলা নিজের হাতে তুলে নেওয়ার ছাড়পত্র পেয়ে যায়নি। পরিস্থিতি ঠান্ডা হলেই এ বিষয়ে বিচার করতে হবে।’’
ইন্দিরা-কলিনদের মূল আর্জি ছিল, পড়ুয়াদের উপরে হিংসা খতিয়ে দেখুক সুপ্রিম কোর্ট। রবিবার কী ঘটেছিল, তা খতিয়ে দেখতে জামিয়া ও আলিগড়ে দুই অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে পাঠানো হোক। কিন্তু প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, ‘‘কেন সম্পত্তি নষ্ট করা হয়েছে? কেন বাস পোড়ানো হয়েছে। আমরা এ বিষয়ে মাথা ঘামাব। কিন্তু শান্ত মনে। যারা এই হাঙ্গামা শুরু করেছে, আগে তাদের থামতে হবে।’’ প্রধান বিচারপতি জানিয়ে দেন, তাঁদের চাপ দিয়ে কিছু করানো যাবে না। আইন-শৃঙ্খলা সামলানো পুলিশের বিষয়। কেউ রাস্তায় নামতে চাইলে তার আদালতে আসার প্রয়োজন নেই। আদালত শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের বিরুদ্ধে নয়। প্রবীণ আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংহ যুক্তি দেন, গোটা দেশে হিংসা চলছে। মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। কলিন আর্জি জানান, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হোক। প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘সেটা হবে। কিন্তু আগে শান্তি আসতে হবে। যদি শুনি প্রতিবাদ, হিংসা চলছে, তা হলে আমরা মামলা শুনব না।’’
আরও পড়ুন: উন্নাও ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত কুলদীপ
জামিয়ার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে আজ দিল্লি হাইকোর্টেও মামলা করেছেন আইনজীবী রিজওয়ান নাজমি। কিন্তু হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি এন পটেলের বেঞ্চ এ বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে শুনানি চালাতে রাজি হননি।