নোট বাতিলের মাসখানেক পরেও স্বস্তি মিলল না আমজনতার। বরং তাঁদের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থই হল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।
বুধবার ঋণনীতি ঘোষণার মধ্যে দিয়ে সদুত্তর মিলল না বেশ কয়েকটি প্রশ্নের। কালো টাকার বন্ধের চেষ্টায় নোট বাতিল করা হলেও আমজনতার হাতে আসেনি পর্যাপ্ত পরিমাণে খুচরো টাকা। ভোগান্তির ছবি দেখা গিয়েছে দেশ জুড়েই। কিন্তু এই আবহে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নতুন গভর্নর উর্জিত পটেলের দাবি, ‘‘নোট বাতিল আসলে একটি সুপরিকল্পিত পদক্ষেপ।’’
উর্জিত জানিয়েছেন, ১৪ লক্ষ কোটি পুরনো টাকার মধ্যে দেশ জুড়ে ব্যাঙ্কের কোষাগারে জমা পড়েছে প্রায় ১২ লক্ষ কোটি টাকা। তবে ৫০০ ও ২০০০ টাকার নতুন নোটের ঘাটতি কবে মিটবে তা নিয়ে কোনও আশ্বাস দিতে পারেননি উর্জিত পটেল।
শুধুমাত্র আমজনতাই নয়, মূলধনী বাজারকেও খুশি করতে পারেননি তিনি। বিশেষজ্ঞেরা আশায় ছিলেন, সুদের হার অন্তত ০.২৫ শতাংশ কমানো হবে। তাঁদের মতে, ব্যাঙ্ক বা কেন্দ্রীয় সরকারের ঘরে নগদ টাকার জোগান বাড়লেও সাধারণ মানুষের হাতে খুচরোর জোগান কমেছে। এতে কমছে ক্রেতার সামগ্রিক চাহিদা। এই পরিস্থিতিতে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হারও কমার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
সুদের হার কমিয়ে সেই পরিস্থিতির মোকাবিলা করার পথে যেতে পারত দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক। তবে সে পথে হাঁটেননি উর্জিত পটেল। রেপো রেট আগের মতোই ৬.২৫ রাখা হয়েছে। যদিও বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলির ক্ষেত্রে রিজার্ভ ব্যাঙ্কে জমা রাখা মূলধনীর ঊর্ধ্বসীমা পুরোপুরি উঠিয়ে দিয়েছে শীর্ষ ব্যাঙ্ক।
আশার আলো দেখা যায়নি দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধিতেও। আগামী অর্থবর্ষের জন্য আর্থিক বৃদ্ধির আরও হার কমবে বলে পূর্বাভাস শীর্ষ ব্যাঙ্কের। বলা হয়েছে, ৭.৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৭.১ শতাংশে নেমে দাঁড়াবে জিডিপি। ফলে প্রায় মাসখানেক কেটে গেলেও সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না বিন্দুমাত্র।