কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। —ফাইল ছবি।
ফি বছর বাড়ছে বিদেশ পড়তে যাওয়া পড়ুয়ার সংখ্যা। দেশে আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভাবে পড়ুয়ারা দেশ ছাড়লেও, একে ‘ব্রেন ড্রেন’ বলতে রাজি নন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। উল্টে একে ভারতের মেধা শক্তির জয় বলেই মনে করেন শিক্ষামন্ত্রী।
আজ লোকসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে বিদেশে পড়ুয়াদের সংখ্যা প্রতি বছর বৃদ্ধি পাওয়া নিয়ে সরব হন তৃণমূলের সাংসদ সৌগত রায়। তিনি বলেন, ২০১৬ সালে ৩.৬৯ লক্ষ পড়ুয়া বিদেশে পড়তে গিয়েছিলেন। সেখানে ২০২৩ সালে ৮.৯৪ লক্ষ পড়ুয়া বাইরে পড়তে যান। কেন ওই সংখ্যা বাড়ছে তার কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি শিক্ষামন্ত্রী। উল্টে প্রধানের দাবি, “অতীতে ব্রেন ড্রেন হতো। কিন্তু এখন বিদেশ থেকে ভারতীয়রা ফিরে আসছেন।” সৌগত রায়ের মতে, দেশে উপযুক্ত আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভাব পড়ুয়াদের দেশ ছাড়ার প্রধান কারণ। তাঁর দাবি, বিশ্বের প্রথম একশোটির মধ্যে ভারতের একটিও বিশ্ববিদ্যালয়ও নেই। এ বিষয়ে সরকার কী ভাবছে জানতে চান তিনি। জবাবে ধর্মেন্দ্র বলেন, “উচ্চ মানের প্রতিষ্ঠানের অভাব নেই দেশে। পশ্চিমবঙ্গেই রয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়।... খড়্গপুর আইআইটি রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে।” বিদেশে পড়তে যাওয়া পড়ুয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া সরকারের কাছে গর্বের বিষয় কি না সৌগতের সেই প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “আজ বিশ্বের বিজ্ঞান, ভাষা, উদ্ভাবনী ক্ষেত্র, চিকিৎসা ক্ষেত্রে ভারতীয়রাই নেতৃত্ব দিচ্ছেন।” এর পরেই তৃণমূল নেতৃত্বকে আক্রমণ শানিয়ে প্রধান বলেন, “স্বাধীনতার আগে ভারতের শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানগুলি কলকাতায় ছিল। এখন কোথায় সেগুলি?”
আজ প্রশ্নোত্তর পর্বে রাজস্থানের কোটার আত্মহ্ত্যার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল। জবাবে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেন, “পরিসংখ্যান বলছে সমস্ত আত্মহত্যার মধ্যে ১.২ শতাংশ পরীক্ষায় ব্যর্থতার জন্য হয়ে থাকে। যে হেতু শিক্ষা যৌথ তালিকাভুক্ত, তাই রাজস্থানের সঙ্গে একত্রে আত্মহত্যা রোধে পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্র।”