প্রতীকী ছবি।
স্কুলে না গিয়ে বন্ধুর জন্মদিন পালন করায় ‘শাস্তি’র মুখে পড়তে হল তিন কিশোরীকে। শিক্ষকের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। আর অভিমানে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করলেন এক কিশোরী। তাঁর অবস্থা সঙ্কটজনক বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ঘটনাটি ঝাড়খণ্ডের রাঁচীর।
পুলিশ সূত্রে খবর, মণীশ কুমার নামে এক স্কুলপড়ুয়ার জন্মদিন গিয়েছে সম্প্রতি। জন্মদিন পালন করার জন্য মণীশের সহপাঠীরা স্কুলে না গিয়ে বাইরে খেতে গিয়েছিল। এক পড়ুয়ার দাবি, জন্মদিন পালনের বিষয়টি বাড়িতেও জানিয়ে গিয়েছিল। অভিভাবকেরা তাতে সম্মতিও দিয়েছিলেন। আর তার পরই তারা সকলে মিলে মণীশের জন্মদিন পালনে বাইরে যায়।
স্কুলে না এসে জন্মদিন পালনে ব্যস্ত পড়ুয়ারা, এই বিষয়টি জানতে পেরেছিলেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। এর পরই তিন কিশোরীকে ডেকে পাঠান প্রধানশিক্ষিাক সীমা কুমারী, শিক্ষক নলিনী রঞ্জন মাহাতো এবং শ্বেতা মেলিসা। অভিযোগ, তিন কিশোরীকে প্রধানশিক্ষাকার ঘরে নিয়ে গিয়ে প্রথমে খুব বকাঝকা করেন শিক্ষকেরা। তার পর ‘শাস্তি’ দিতে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। এই হেনস্থা সহ্য করতে না পেরে এক কিশোরী বাড়ি ফিরে বিষপান করে। তাকে সঙ্কটজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন অভিভাবকরা। শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তোলেন তাঁরা। তিন কিশোরীর পরিবার বুধবার রাতে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা। পড়ুয়াদের মারধর করা হয়নি। শুধু সতর্ক করেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।