ফের স্কুলের শৌচাগারে ছাত্রের দেহ

উত্তর-পূর্ব দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার অজিত কে সিংলা সংবাদমাধ্যমকে জানান, কারাবাল নগর চক থানায় কাল দুপুরে একটি ফোন যায়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০২:৪৯
Share:

তুষার কুমার

প্রদ্যুম্ন কাণ্ডের ছায়া এ বার রাজধানীর এক স্কুলে।

Advertisement

গত সেপ্টেম্বরে স্কুলের শৌচাগার থেকে উদ্ধার হয়েছিল গুরুগ্রামের রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র প্রদ্যুম্ন ঠাকুরের রক্তাক্ত দেহ। প্রায় একই ভাবে গত কাল উত্তর-পূর্ব দিল্লির কারাবাল নগর এলাকার জীবন জ্যোতি সিনিয়র সেকেন্ডারি স্কুলের শৌচাগার থেকে নবম শ্রেণির এক ছাত্রকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বছর ষোলোর তুষার কুমারকে খুনের অভিযোগে তারই তিন সহপাঠীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিন জনই নাবালক। এই ঘটনায় জড়িত আর এক নাবালক পলাতক।

উত্তর-পূর্ব দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার অজিত কে সিংলা সংবাদমাধ্যমকে জানান, কারাবাল নগর চক থানায় কাল দুপুরে একটি ফোন যায়। সেখানে বলা হয়েছিল, এক ছাত্রকে স্কুলের শৌচাগার থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রথমে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করে। কিন্তু তুষারের বাড়ির লোক প্রথম থেকেই বলে আসছিলেন, তাঁদের ছেলেকে কয়েক জন বন্ধু মিলে মেরে ফেলেছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই স্কুলের শৌচাগারের সামনে সিসি-ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ।

Advertisement

সিংলা জানিয়েছেন, ওই ফুটেজেই দেখা যায় চার ছাত্র মিলে মারধর করছে তুষারকে। একটি ঘুষি খেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে তুষার। ওই ছাত্ররা সেখান থেকে পালায়। পরে অন্য কয়েক জন ছাত্র শৌচাগারে যেতে গিয়ে তুষারকে পড়ে থাকতে দেখে। তারাই স্কুল কর্তৃপক্ষকে গোটা ঘটনা জানায়। সিসিটিভি ফুটেজ দেখার পরেই ওই চার নাবালকের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করে পুলিশ। তুষারের দেহে প্রাথমিক ভাবে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই বলে জানিয়েছেন সিংলা।

স্কুলের বিরুদ্ধে গাফিলতি আর সত্য গোপনের অভিযোগ এনেছে তুষারের পরিবার। মৃত ছাত্রটির মায়ের দাবি, ‘‘স্কুলের প্রিন্সিপাল বলেছেন আমার ছেলে অসুস্থ ছিল। ওর পেট ব্যথা করছিল। ডায়েরিয়াও হয়েছিল। এ কথা মোটেও সত্যি নয়। অসুস্থ ছেলেকে কখনও আমরা স্কুলে পাঠাতাম?’’ সেই সঙ্গেই তাঁর বিলাপ, ‘‘সকালে সুস্থ ছেলেকে বাড়ি থেকে স্কুলে পাঠিয়েছিলাম। দুপুরে কী ভাবে সব শেষ হয়ে গেল? যে ভাবেই হোক, আমার ছেলেকে ফিরিয়ে দাও।’’ তুষারের বাবাও অভিযোগ করেছেন, অভিযুক্ত ছাত্রদের আড়াল করার চেষ্টা করছেন স্কুলের প্রিন্সিপাল।

তবে এই ঘটনা ফের প্রশ্ন তুলে দিয়েছে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে। স্কুল কর্তৃপক্ষআর দোষীদের কড়া শাস্তির দাবিতে কারাবাল নগর থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান ওই স্কুলের অভিভাবকেরা। কারাবাল নগরেই থাকে তুষারের পরিবার। স্থানীয় বিধায়ক কপিল শর্মা জানিয়েছেন, গোটা ঘটনার উপর তিনি নজর রাখছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement