শস্যের গোড়া পোড়ানো হচ্ছে। ফাইল চিত্র। পিটিআই।
পঞ্জাব, হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশে শস্যের গোড়া পোড়ানোর বিষয়ে নজরদারি চালাতে শুক্রবার এক সদস্যের কমিটি নিয়োগ করল সুপ্রিম কোর্ট। কমিটির দায়িত্বে রয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মদন বি লোকুর। দূষণ প্রসঙ্গ তুলে এ দিন আদালত জানায়,দিল্লি-এনসিআরের বাসিন্দারা যাতে বিশুদ্ধ বাতাসে শ্বাস নিতে পারেন, সে দিকে নজর রাখতে হবে আমাদের।
শস্যের গোড়া পোড়ানোর কারণে দূষণ সংক্রান্ত মামলাটির এ দিন শুনানি হয় প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চে। তখন আদালত ওই তিন রাজ্যে শস্য পোড়ানোর বিষয়ে নজর রাখতে বিচারপতি লোকুরের নেতৃত্বে এক সদস্যের কমিটি নিযুক্ত করে। তাতে ‘আপত্তি’ জানায় কেন্দ্র। সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য আদালতের কাছে আর্জি জানায় তারা। কিন্তু আদালতে কেন্দ্রের সেই আর্জি খারিজ করে দেয়।
যেখানে শস্যের গোড়া পোড়ানো হচ্ছে সেখানে আদালত নিযুক্ত কমিটির সদস্যরা সশরীরে হাজির থাকলে তাঁদের সব রকম সহযোগিতা করতে হবে। তিন রাজ্য এবং আদালত নিযুক্ত দূষণ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষকে এ দিন এমনই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে কমিটিকে এ বিষয়ে রিপোর্ট জমা দিতে হবে বলে জানিয়েছে আদালত।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরই কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রক বোর্ডের চেয়ারম্যান শিব দাস মীনা বলেন, “যারা এই নির্দেশ অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তিনি আরও বলেন, “প্রতি বছর শীতের সময় দিল্লিতে দূষণ একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। আমার দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। স্পটে গিয়ে নজরদারি চালানোর জন্য ৫০টি দল পাঠানো হয়েছে।”
আরও পড়ুন: হাথরস কাণ্ডে এক অভিযুক্তের বাড়ি থেকে উদ্ধার রক্তমাখা পোশাক, দাবি সিবিআইয়ের
পঞ্জাব, হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশে শস্যের গোড়া পোড়ানোর কারণে দিল্লিতে দূ্ষণের মাত্রা বেড়ে যায় বলে দিল্লি সরকারের অভিযোগ। এ নিয়ে ওই তিন রাজ্যের সঙ্গে দিল্লির টানাপড়েন লেগেই থাকে। যদিও সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলো দিল্লির অভিযোগকে বরাবরই অস্বীকার করে এসেছে। দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল বহু প্রচার চালিয়েছেন। সম্প্রতি দিল্লির সচিবালয়ে একটি ‘গ্রিন ওয়ার রুম’ উদ্বোধন করেছেন। এখান থেকেই প্রতিবেশী রাজ্যগুলোতে শস্যের গোড়া পোড়ানোর বিষয়টি উপগ্রহ চিত্রের মাধ্যমে নজরদারি চালানো হবে বলে জানিয়েছেন কেজরীবাল।