শৈশব: শিশু দিবসে বায়ু দূষণ নিয়ে সচেতনতা অভিযানে যোগ দিল শিশুরা। মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে। ছবি: পিটিআই।
পরিত্রাতা হয়ে এল পুবের বাতাস।
তারই জেরে আজ এক ধাক্কায় দিল্লির দূষণের পরিমাণ অনেকটাই কমে এসেছে। খাতায়-কলমে দিল্লিতে বায়ুদূষণের পরিমাণ বিপদ সীমায় থাকলেও, পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি হচ্ছে বলে জানান পরিবেশবিদরা।
এত দিন ভিলেনের ভূমিকায় সক্রিয় ছিল প্রচুর জলীয় বাষ্প। বঙ্গোপসাগর থেকে আসা সেই বাষ্প দিল্লির আকাশে থমকে গিয়ে আঁকড়ে ধরেছিল বাতাসে ভাসমান ক্ষতিকর কণাকে। কাটছিল না ধোঁয়াশা। দূষণ ছিল একই মাত্রায়। কিন্তু কাল থেকে চড়া রোদ আর বাতাসের গতি বাড়ায় সেই জলীয় বাষ্প আজ অনেকটাই উধাও। বেড়েছে পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব দিকে থেকে আসা বায়ুপ্রবাহ। যার ফলে ধোঁয়াশা কেটেছে। উড়ে গিয়েছে ক্ষতিকর ভাসমান কণা।
কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের বায়ুর মান বিভাগের প্রধান দীপঙ্কর সাহা বলেন, ‘‘আজ সকালে এক সময়ে বায়ুপ্রবাহের গতি ছিল প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৬ মিটার।’’ কমেছে ন্যূনতম তাপমাত্রা। সকালে দিল্লির তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি কমে যায়। ফলে শিশির পড়া শুরু হয়েছে দিল্লিতে। এতে দূষণ আরও কমবে বলেই মত পরিবেশবিদদের। বাড়বে ঠাণ্ডা। দীপঙ্করবাবুর মতে, ‘‘উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম অর্থাৎ হিমালয়ের দিকে থেকে হাওয়া আসতে শুরু করলেই দিল্লিতে শীত পড়বে।’’ অন্য বারের তুলনায় এ বার অন্তত দু’সপ্তাহ আগে দিল্লিতে শীত কড়া নাড়তে চলেছে বলেই মত আবহাওয়া দফতরের।
দূষণ পরিস্থিতির উন্নতি হলেও আজ জাতীয় পরিবেশ আদালতে প্রশ্নের মুখে অরবিন্দ কেজরীবালের সরকার। জোড়-বিজোড় নীতি চালু
করতে গিয়ে মহিলা ও বাইক আরোহীদের ছাড় দিয়েছিল দিল্লি সরকার। কিন্তু এ নিয়ে প্রশ্ন তোলে পরিবেশ আদালত। কেজরীবাল সরকারের মতে, মহিলাদের নিরাপত্তার জন্যই ছাড় দেওয়া জরুরি। আর বাইক আরোহীদের ছাড় না দিলে পরিবহণ ব্যবস্থাই ভেঙে পড়বে। এই যুক্তি মেনে নেয়নি কোর্ট। দিল্লিতে ধোঁয়াশার পিছনে পঞ্জাবে ফসলের গোড়া জ্বালানোকে বড় কারণ হিসেবে দেখছেন অনেকে। এ নিয়ে কেজরীবাল পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহের সঙ্গে দেখা করতে চান। কিন্তু তাতে রাজি হননি অমরেন্দ্র।