জি২০ বৈঠক। —ফাইল চিত্র।
ভিডিয়ো মাধ্যমে হতে চলা আসন্ন জি২০ বৈঠকে যাতে চলতি ভূকৌশলগত সঙ্কটের ছবি ফুটে না ওঠে, সে জন্য কোমর বাঁধছে নয়াদিল্লি। এই সঙ্কট যাতে প্রকট না হয়ে ওঠে, তার জন্য বিশেষ কৌশলও নেওয়া হচ্ছে।
সূত্রের খবর, বিতর্ক এড়াতে গত সেপ্টেম্বরে নয়াদিল্লির ভারতমণ্ডপমে জি২০ বৈঠকে সশরীরে যোগ দেননি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তবে এ বার ভিডিয়ো মাধ্যমের বৈঠকে থাকতে পারেন তিনি। চলতি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে ভূ-কূটনীতি। পুতিনের বক্তৃতার সময়ে আমেরিকা-সহ পশ্চিমি রাষ্ট্রনেতাদের ক্ষোভ বা বক্রোক্তি যাতে সর্বসমক্ষে ফুটে না ওঠে, সে জন্য স্থির হয়েছে, এক জন রাষ্ট্রনেতার বক্তৃতার সময়ে বৈদ্যুতিন পর্দায় অন্য কারও উপস্থিতি রাখা হবে না। অর্থাৎ এক জনেরই মুখ দৃশ্যমান থাকবে। শুধুমাত্র কয়েকটি সামগ্রিক ছবি নিয়ে রাখা হবে, যাতে উপস্থিত সমস্ত নেতারা থাকবেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রারম্ভিক বক্তৃতার পরই বৈঠকটিকে রুদ্ধদ্বার করে দেওয়া হবে, অর্থাৎ বাকিদের বক্তৃতা আর সর্বসমক্ষে দেখানো হবে না। কোনও যৌথ বিবৃতি প্রকাশের পরিকল্পনা এখনও নেই। তবে একটি প্রেস বিবৃতি অবশ্যই জারি করবে ভারত। উপস্থিত অন্য দেশগুলির দূতাবাসের মাধ্যমে তাদের রাষ্ট্রনেতার বিবৃতিও পরে প্রকাশিত হবে। শুধু রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধই নয়, ইজ়রায়েল ও প্যালেস্টাইনের সংঘাত নিয়েও উত্তপ্ত হবে ভার্চুয়াল মঞ্চ। সেটিকেও সামনে আনতে চায় না ভারত।