প্রতীকী ছবি।
অমরাবতী জমি কেলেঙ্কারির খবর করতে সংবাদমাধ্যমের উপর অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞায় স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে গিয়েছিল জগন্মোহন রেড্ডির নেতৃত্বাধীন অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার। তবে এই জমি কেলেঙ্কারির মামলায় যে হেতু সুপ্রিম কোর্টেরই এক বিচারপতির পরিবারের সদস্যদের নাম জড়িয়ে গিয়েছে, তাই শীর্ষ আদালতের আজকের রায়কে বিশেষ ভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
অমরাবতীতে অন্ধ্রপ্রদেশের নতুন রাজধানী হবে, সে কথা আগাম জেনে প্রভাবশালী কিছু ব্যক্তি সেখানে জমি কিনে ফেলেছিলেন বলে অভিযোগ। চন্দ্রবাবু নায়ডু জমানার সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে জগন্মোহন রেড্ডির সরকার। অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখা এ ব্যাপারে রাজ্যের প্রাক্তন অ্যাডভোকেট জেনারেল-সহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে। যার মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের এক জন বিচারপতির দুই মেয়েরও নাম রয়েছে। এই এফআইআরের বিষয়বস্তু নিয়ে খবর যাতে প্রকাশিত না হয়, গত ১৫ সেপ্টেম্বর সেই নির্দেশ দিয়েছিল অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্ট। আজ শীর্ষ আদালতে বিচারপতি অশোক ভূষণের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ হাইকোর্টের সেই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে। পাশাপাশি, সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, অমরাবতী জমি কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত মামলা নিয়ে আগামী জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত হাইকোর্ট যেন কোনও রায় না শোনায়। জমি কেলেঙ্কারির তদন্তে আগেই স্থগিতাদেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। তবে হাইকোর্টের সেই নির্দেশ আজও বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা। আগামী বছরের জানুয়ারি মাসে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
মামলার ভিডিয়ো-শুনানিতে আজ অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের আইনজীবী রাজীব ধবন যুক্তি দেন, জমি কেলেঙ্কারি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা যাবে না, এমন নির্দেশ হাইকোর্টের দেওয়া উচিত নয়। প্রাক্তন অ্যাডভোকেট জেনারেল ধাম্মালাপতি শ্রীনিবাসের আইনজীবী মুকুল রোহতগি অভিযোগ করেন, তাঁর মক্কেল রাজ্যের পূর্বতন সরকারের সময়ে বহাল ছিলেন বলেই তাঁকে নিশানা করা হচ্ছে। আর রাজধানী করার জন্য রাজ্য সরকার কোনও জায়গাকে বেছে নিচ্ছে, সেটা আগাম জেনে জমি কিনে ফেলছে কেউ, এই অভিযোগের ভিত্তি নেই বলেই দাবি করেন তিনি। রোহতগির অভিযোগ, অন্ধ্রপ্রদেশে যা হচ্ছে, তা জরুরি অবস্থার সময়ের চেয়েও খারাপ। প্রাক্তন অ্যাডভোকেট জেনারেলের আর এক আইনজীবী হরিশ সালভে শীর্ষ আদালতে জানান, হাইকোর্টের বিচারপতিদের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিযোগ আনা হচ্ছে।