Congress

APS Deol: দ্বন্দ্বের মধ্যেই কেদার যাত্রা সিধু-চন্নীর

অ্যাডভোকেট জেনারেল পদে এপিএস দেওলের নিয়োগ নিয়ে গোড়া থেকেই আপত্তি ছিল সিধুর।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি, চণ্ডীগড় শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২১ ০৭:৪৭
Share:

এপিএস দেওল। ছবি: সংগৃহীত।

পঞ্জাবের অ্যাডভোকেট জেনারেল এপিএস দেওলের ইস্তফা নিয়ে নাটক ফের মোড় নিল। আজ দেওল জানিয়ে দিলেন, তিনি আদৌ ইস্তফা দেননি। অন্য দিকে এ দিন দ্বন্দ্বের মধ্যেই এক সঙ্গে কেদারনাথে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিংহ চন্নী, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নভজ্যোৎ সিংহ সিধু-সহ পঞ্জাব কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা।

Advertisement

অ্যাডভোকেট জেনারেল পদে এপিএস দেওলের নিয়োগ নিয়ে গোড়া থেকেই আপত্তি ছিল সিধুর। গত কাল এজি-র দফতর জানায়, দেওল ইস্তফা দিয়েছেন। বিষয়টিকে সিধুর জয় হিসেবেই দেখেছিলেন রাজনীতিকেরা। কিন্তু আজ দেওল দাবি করেন, তিনি আদৌ ইস্তফা দেননি। কংগ্রেস সূত্রের খবর, তাঁর বিরুদ্ধে প্রবীণ কংগ্রেস নেতাদের বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন দেওল। কিন্তু তিনি ইস্তফা দিলেও চন্নী তা গ্রহণ করেননি। রাজনীতিকদের মতে, চন্নী বুঝিয়ে দিতে চেয়েছেন সিধুর চাপের কাছে নতিস্বীকার করতে তিনি রাজি নন। গত কালই আবার এক সভায় নাম না করে চন্নীকে নিশানা করেন সিধু। তিনি দাবি করেন, এক দল রাজনীতিক রাজ্যবাসীকে ‘ললিপপ’ দিচ্ছেন। সম্প্রতি রাজ্য সরকারের কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা ১১ শতাংশ বাড়িয়েছেন চন্নী। বিদ্যুতের দাম ইউনিট প্রতি ৩ টাকা কমিয়ে দিয়েছেন।

এই দ্বন্দ্বের মধ্যেই আবার আজ এক সঙ্গে কেদারনাথে গিয়েছেন চন্নী, সিধু, পঞ্জাব কংগ্রেসের দায়িত্বপ্রাপ্ত হরীশ চৌধরি ও বিধানসভার স্পিকার রানা কেপি সিংহ। কেদারনাথ যাওয়ার পথে দেহরাদূনে হরীশ রাওয়তের সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা। উত্তরাখণ্ডের নেতা রাওয়ত আগে পঞ্জাব কংগ্রেসের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি অবশ্য দাবি করেছেন, পঞ্জাব কংগ্রেসে কোনও সমস্যা নেই। আসন্ন বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসই জিতবে। হরীশ চৌধরি দক্ষ হাতে পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছেন।

Advertisement

রাজনৈতিক সূত্রের মতে, দ্বন্দ্বের মধ্যেই ভোটে দলের জয় চাইতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কেদারনাথ যাত্রা করেছেন পঞ্জাবের কংগ্রেস নেতারা। ৫ নভেম্বর আবার সেখানে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উত্তরাখণ্ড, পঞ্জাবের ভোট বিজেপির কাছেও বড় পরীক্ষা। তাই মোদীর কেদারনাথ যাত্রাকে ঘিরে বড় প্রচার অভিযানে নামার প্রস্তুতি নিয়েছে বিজেপি। কেদারনাথ মন্দিরে প্রার্থনা জানানোর পাশাপাশি আদি শঙ্করাচার্যের সমাধির উদ্বোধন করার কথা তাঁরা। ২০১৩ সালের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পরে ওই সমাধির সংস্কার করা হয়েছে। এই উপলক্ষে চার ধাম, দেশের ১২টি জ্যোর্তিলিঙ্গ ও ৮৬টি মন্দিরে সাধু ও ভক্তদের জমায়েত হওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছে বিজেপি। সেই সব জমায়েতে কেদারে মোদীর অনুষ্ঠান বড় পর্দায় দেখানো হবে।

রাজনীতিকদের একাংশের মতে, কেদারে গিয়েও ভোটে শেষরক্ষা হয়নি কমল নাথের। এ বার কাদের ভাগ্যে কী আছে সেটাই দেখার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement