—প্রতীকী চিত্র।
বিভিন্ন বুথ ফেরত সমীক্ষায় ইঙ্গিত, জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা ভোটের ফল ত্রিশঙ্কু হতে চলেছে। এর পরেই তৎপরতা শুরু হয়েছে পদ্ম শিবিরে। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ছোট দল ও নির্দল প্রার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন বিজেপির ভোট-ম্যানেজারেরা। প্রয়োজনে তাঁদের সমর্থনে ওই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে যাতে সরকার গঠন করা যায়। সরকার গড়তে প্রয়োজনে বিধানসভায় উপরাজ্যপাল মনোনীত সদস্যদের সমর্থন নিতেও পিছপা হবে না বিজেপি।
জম্মু-কাশ্মীরে কোনও দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না বলে ইঙ্গিত দিয়েছে বুথ ফেরত সমীক্ষা। কংগ্রেস এবং ন্যাশনাল কনফারেন্সের জোট এগিয়ে থাকলেও বিজেপি বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে আসতে পারে। সূত্রের খবর, এর পরেই নড়েচড়ে বসেছেন বিজেপির শীর্ষ নেতারা। জম্মু-কাশ্মীরের নির্দল প্রার্থী এবং আঞ্চলিক দলগুলি নেতাদের সঙ্গে ইতিমধ্যেই এক দফা আলোচনা সেরে ফেলেছেন বিজেপির নেতারা। দলের একটি সূত্র বলছে, কয়েক জন নির্দল প্রার্থীকে ভোটের সময় পরোক্ষে সমর্থন জুগিয়েছিল বিজেপি। সেই কারণেই ২০১৪-র বিধানসভা ভোটে বিজেপি ৭৫টি আসনে প্রার্থী দিলেও এ বার ৬২টি আসনে লড়াই করেছে। বাকি আসনগুলিতে পদ্মশিবির পরোক্ষ ছোট দল বা নির্দল প্রার্থীকে সমর্থন দিয়েছে। অনেক বিজেপি নেতার বক্তব্য, দল যদি এক বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে আসে, তা হলে নির্দল ও ছোট দলগুলির সমর্থনে দ্রুত সরকার গঠনের দাবি জানানো হবে।
জম্মুতে বিজেপি খুবই ভাল ফল করবে বলে ইঙ্গিত বুথ ফেরত সমীক্ষায়। কিন্তু বিজেপি নেতাদের একাংশের মতে, টিকিট বণ্টনের সময়ে কিছু আসনে অসন্তোষ ছিল। তা প্রভাব ভোটের ফলে পড়তে পারে। বিজেপি নেতারা নজর রাখছেন কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ প্রার্থীদের দিকেও। শোনা যাচ্ছে, কংগ্রেসের যে সকল বিক্ষুব্ধ প্রার্থীর জেতার সম্ভাবনা রয়েছে, তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে দিয়েছে গৈরিক শিবির।
নতুন আইনে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের উপরাজ্যপাল বিধানসভায় পাঁচ মনোনীত সদস্যকে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবেন, যাঁদের নির্বাচিত সদস্যদের মতো অধিকার থাকবে। সূত্রের খবর, এই সুযোগটি কাজে লাগাতে চাইছে বিজেপি। প্রয়োজনে ওই পাঁচ সদস্যের সমর্থনও তারা নিতে পারে। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে জম্মু-কাশ্মীরের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা তরুণ চুঘ অবশ্য সরকার গঠনের ব্যাপারে আশাবাদী। তাঁর কথায়, ‘‘বুথ ফেরত সমীক্ষার ভবিষ্যদ্বাণী, বিজেপি বৃহত্তম দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে, কিন্তু ভোটের ফল সে অনুমানকেও ছাপিয়ে যাবে। আমরা জম্মু-কাশ্মীরে সরকার গঠন করব।’’ সংবাদ সংস্থা