সচিন পাইলট কংগ্রেস ছাড়তে পারেন বলে জল্পনা। —ফাইল চিত্র।
আগামী রবিবার (১১ জুন) বাবা রাজেশ পাইলটের মৃত্যুদিনে কংগেস ছেড়ে নতুন দল গড়ার কথা ঘোষণা করতে পারেন তিনি! ‘বিক্ষুদ্ধ’ সচিন পাইলটকে নিয়ে রাজস্থানে ইতিমধ্যেই দানা বেঁধেছে এই গু়ঞ্জন। যদিও মঙ্গলবার কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়েছে, সচিন দল ছাড়ছেন না।এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক রণদীপ সিংহ সূরজেওয়ালা মঙ্গলবার বলেন, ‘‘সচিন আমাদের দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা। তিনি কংগ্রেসেই থাকবেন।’’
রাজস্থান প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সচিনকে নিয়ে কিছু গুজব রটনা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন রণদীপ। ঘটনাচক্রে, সোমবার দৌসায় তাঁর গ্রামে একটি কর্মসূচি রয়েছে সচিনের। তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রের খবর, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণার আগে কংগ্রেস হাইকমান্ডের ‘বার্তা’র প্রতীক্ষায় রয়েছেন বিক্ষুব্ধ নেতা।
২০২০ সালে গহলৌত সরকারের বিরুদ্ধে ‘অভ্যুত্থান’ চালাতে গিয়ে ‘ব্যর্থ’ হয়েছিলেন পাইলট। সে সময় রাজস্থানের তৎকালীন উপ মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তাঁর অনুগামী ১৯ জন বিধায়ককে নিয়ে দিল্লির কাছে একটি রিসর্টে গিয়ে উঠেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রত্যাশী পাইলটের এই পদক্ষেপে কংগ্রেসের অন্দরে আশঙ্কা তৈরি হয় যে, বিজেপির সহায়তায় তিনিও রাজস্থানে কংগ্রেস সরকার ফেলে দিতে পারেন। তবে কিছু দিন পরেই বিদ্রোহে ইতি টানেন রাজেশ পাইলটের পুত্র। কিন্তু প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি এবং উপ মুখ্যমন্ত্রীর পদ খোয়াতে হয়েছিল তাঁকে।
এর পর গত ৩ বছর ধরেই সচিন পাইলট রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর পদ চাইছেন। কংগ্রেস সূত্রের খবর, ভোটের মাত্র ৬ মাস আগে মুখ্যমন্ত্রী পদে রদবদল করে পঞ্জাবের ভুলের পুনরাবৃত্তি করতে চাইছেন না রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খড়্গেরা। বিজেপি যখন নরেন্দ্র মোদীর ওবিসি পরিচিতিকে রাজনৈতিক ভাবে কাজে লাগাচ্ছে, তখন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ওবিসি নেতা গহলৌতকেও সরাতে চায় না কংগ্রেস। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে পাইলটকে জাতীয় স্তরে গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। কিন্তু সচিন কি ওই প্রস্তাব মানবেন? উত্তর জানা যেতে পারে ১১ জুন।