সিকিমের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী পবনকুমার চামলিং। —ফাইল চিত্র।
রাজ্যপাল গঙ্গা প্রসাদের সঙ্গে দেখা করে সিকিমে সরকার গড়ার দাবি জানাল সিকিম ক্রান্তিকারি মোর্চা (এসকেএম)-র প্রতিনিধি দল। এসকেএমের সভাপতি প্রেম সিংহ তামাংয়ের নেতৃত্বে দলটি শনিবার রাজভবনে যায়।
এ বারের বিধানসভা ভোটে এসকেএমের কাছে পরাজিত হয়েছে সিকিম ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট (এসডিএফ)। ২৫ বছরের রাজ্যপাট খুইয়েছেন এসডিএফ নেতা তথা সিকিমের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী পবনকুমার চামলিং। সিকিম বিধানসভার ৩২টি আসনের মধ্যে এসকেএম ১৭টি এবং এসডিএফ ১৫টি আসন পেয়েছে। সব ক’টি আসনেই হেরেছে ভাইচুং ভুটিয়ার দল হামরো সিকিম। ভাইচুং নিজে লড়েছিলেন গ্যাংটক এবং তুমেন-লিঙ্গিং কেন্দ্রে। হেরেছেন দু’টিতেই। গ্যাংটক কেন্দ্রে ভাইচুং পেয়েছেন মাত্র ৭০টি ভোট!
সিকিমের নতুন মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, এখন তা নিয়েই চলছে জল্পনা। রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার পরে এই ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে প্রেম সিংহ তামাং (তিনি আবার পি এস গোলাই নামেই বেশি পরিচিত) বলেন, ‘‘এই ব্যাপারে শীঘ্রই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’ তবে সূত্রের খবর, সিকিমের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন গোলাই। এসকেএমের মহিলা শাখার সাধারণ সম্পাদক প্রতিভা ভাণ্ডারী বলেন, ‘‘দলের কর্মী-সমর্থকরা গোলাইকেই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাইছেন।’’
এ বারের ভোটে লড়েননি গোলাই। দুর্নীতির দায়ে জেলও খেটেছেন। ২০১৭ সালে খারিজ হয় গোলাইয়ের বিধায়ক পদ। ফলে তাঁর মুখ্যমন্ত্রী হওয়া নিয়ে জটিলতা রয়েছে বলেও মনে করছে রাজনৈতিক শিবির।
এ দিনই চামলিং জানিয়েছেন, ভোটের এই ফল তিনি মাথা পেতে নিচ্ছেন। ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘‘আমি গণতন্ত্রের সৈনিক। মানুষ আমাকে যেখানে দেখতে চাইবেন, আমি সেখানেই থাকব। এই বার মানুষ আমাকে বিরোধী হিসেবে দেখতে চাইছেন। আমি এই জনাদেশকে সম্মান করি।’’