রাহুল গাঁধী। ফাইল চিত্র।
ব্রিটেন সফরের আগে কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রক থেকে প্রয়োজনীয় ‘রাজনৈতিক ছাড়পত্র’ নেননি কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধী। বুধবার কেন্দ্রের একটি সূত্রে এই দাবি করা হয়েছে। ওই সূত্র জানাচ্ছে, লোকসভা এবং রাজ্যসভার সাংসদদের বিদেশে কোনও কর্মসূচি বা অনুষ্ঠানে যোগদানের আগে বিদেশ মন্ত্রক থেকে ‘রাজনৈতিক ছাড়পত্র’ নেওয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু রাহুল সেই নিয়ম না মেনেই চলতি সপ্তাহে লন্ডনে গিয়েছিলেন।
রাহুল সোমবার কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি কলেজে ভারতের স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষ উপলক্ষে এক আলোচনাসভায় অংশ নিয়েছিলেন। সেখানে বক্তৃতায় তিনি বিজেপি এবং সঙ্ঘ পরিবারের ‘কট্টরপন্থী হিন্দুত্বের’ সমালোচনা করেন। রাহুল বলেন, ‘‘আমি হিন্দু ধর্ম নিয়ে বেশ কিছুটা পড়াশোনা করেছি। তাতে বলতে পারি, মানুষকে খুন করা বা গণপিটুনির মধ্যে হিন্দুত্ব নেই।’’
ওই বক্তৃতায় রাহুল অভিযোগ করেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার এবং তার চালিকাশক্তি আরএসএস ভারতীয় সংবিধানের মূল ভাবধারাকে বিপন্ন করে তুলেছে। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলির উপর আঘাত হানছে। মূল স্রোত থেকে সংখ্যালঘুদের বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘মেরুকরণের রাজনীতি করতে গিয়ে, দেশের ২০ কোটি মানুষকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হচ্ছে। এমন বিপজ্জনক পদক্ষেপ ভারতীয় সংবিধানের মূল ভাবনার বিরুদ্ধে।’’
ঘটনাচক্রে, কেমব্রিজের ওই আলোচনাসভার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতির ব্রিটেন সফর নিয়ে সরকারের একটি অংশের তরফে প্রশ্ন তোলা হল। এ বিষয়ে কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা বলেন, ‘‘সরকারি সফরের ক্ষেত্রে সাংসদদের বিদেশমন্ত্রককে সফরসূচি জানাতে হয়। ব্যক্তিগত সফরের ক্ষেত্রে সরকারের ছাড়পত্র নেওয়া বাধ্যতামূলক নয়।