জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। —ফাইল চিত্র।
রুশ-ইউক্রেন সংঘাতের আবহেই এ বার মস্কো যাচ্ছেন ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। সাউথ ব্লক সূত্রে খবর, চলতি সপ্তাহেই মস্কোর উদ্দেশে রওয়া দেবেন তিনি। রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতির মীমাংসা করতেই ডোভালের এই সফর বলে ওয়াকিবহাল মহলের দাবি। গত দু’মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাশিয়া ও ইউক্রেন— দুই দেশেই সফরে গিয়েছেন। পৃথক পৃথক বৈঠক করেছেন পুতিন ও জ়েলেনস্কির সঙ্গে। মোদীর রাশিয়া ও ইউক্রেন সফরের পরই এ বার রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা।
প্রসঙ্গত, রুশ-ইউক্রেন পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছন্দে ফেরাতে ইতিমধ্যেই ভারত উদ্যোগী হয়েছে। প্রথমে রুশ সফর, তার পরে ইউক্রেন সফর। জ়েলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে ভারতে ফেরার পরই আবার পুতিনকে ফোন। গত ২৭ অগস্ট পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল মোদীর। রাশিয়ায় ভারতীয় দূতাবাস থেকে জানানো হয়েছিল, ইউক্রেন সফর প্রসঙ্গেই পুতিনের সঙ্গে কথা হয়েছিল তাঁদের। কূটনৈতিক স্তরে ও আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করতে যে ভারত আগ্রহী, সেই বার্তাও পুতিনকে দিয়েছিলেন তিনি। সূত্রের খবর, ওই দিনের ফোনালাপেই শান্তি আলোচনায় ডোভালকে মস্কোয় পাঠানোর বিষয়ে কথা হয়েছিল দুই দেশের রাষ্ট্রনেতার। যদিও এই সফরের বিষয়ে এখনও পর্যন্ত সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নি।
তবে সেই ফোনালাপের পর প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে এক বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছিল। সেখানেও উল্লেখ করা হয়েছিল, “সম্প্রতি ইউক্রেন সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁর দৃষ্টিভঙ্গির কথা জানিয়েছেন। শান্তি ফেরাতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।”
রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি ঠেকাতে ভারতকে এগিয়ে আসার প্রস্তাব দিয়েছে অন্য দেশগুলিও। ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, ইউক্রেনের পরিস্থিতি সামাল দিতে ভারত এবং চিনের মতো দেশগুলির এগিয়ে আসা উচিত। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জ়েলেনস্কির সঙ্গে শনিবারই একটি বৈঠক হয়েছে মেলোনির। জ়েলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের পরই যুদ্ধ পরিস্থিতি ঠেকাতে ভারতকে সদর্থক ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানান মেলোনি।