সনিয়ার ডাকে গিয়ে হতাশ

কংগ্রেসের নেহরু-স্মরণে এসে কিছুটা হতাশই হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জওহরলাল নেহরুর ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দু’দিনের সেমিনার। যদিও তার মূল উদ্দেশ্য ছিল সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে আঞ্চলিক দলগুলিকে একটি ছাতার তলায় নিয়ে আসা। অন্তত তেমনটা ভেবেই কলকাতায় চলচ্চিত্র উৎসব ফেলে রেখে, সনিয়া গাঁধীর ডাকে সাড়া দিয়ে রবিবার রাতে নয়াদিল্লি পৌঁছেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০১৪ ০৩:১৩
Share:

কংগ্রেসের নেহরু-স্মরণে এসে কিছুটা হতাশই হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জওহরলাল নেহরুর ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দু’দিনের সেমিনার। যদিও তার মূল উদ্দেশ্য ছিল সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে আঞ্চলিক দলগুলিকে একটি ছাতার তলায় নিয়ে আসা। অন্তত তেমনটা ভেবেই কলকাতায় চলচ্চিত্র উৎসব ফেলে রেখে, সনিয়া গাঁধীর ডাকে সাড়া দিয়ে রবিবার রাতে নয়াদিল্লি পৌঁছেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

তৃণমূল সূত্র বলছে, কিছুটা হতাশ নেত্রী। উপস্থিত অকংগ্রেসি আঞ্চলিক দলগুলির নেতাদের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন একমাত্র মমতাই। কিন্তু মঞ্চে তাঁর বসার ব্যবস্থা হয়নি। ঘানা কিংবা মিশরের প্রাক্তন রাষ্ট্রনেতাদের বক্তৃতার ব্যবস্থা করা হলেও উপস্থিত শরদ যাদব বা মমতার মতো নেতাদের নেহরুকে নিয়ে বলার ব্যবস্থাও রাখা হয়নি। মমতা নির্ধারিত সময়ে এসে নীচে দর্শকের আসনে বসেন। অনুষ্ঠানের শেষে প্রবল ভিড়ের মধ্যে মধ্যাহ্নভোজনে তিনি আর থাকেননি, সনিয়ার কাছে একটি বাক্যে বিদায় নিয়ে চলে এসেছেন। সনিয়াও তাঁকে থাকার জন্য বিশেষ অনুরোধ করেননি। স্বাভাবিক ভাবেই আজ অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় তথা শেষ দিনে নৈশভোজেও যাননি মমতা।

ঘনিষ্ঠ মহলে মমতার বক্তব্য, যে-হেতু বেশ কিছু আঞ্চলিক ধর্মনিরপেক্ষ দলের নেতাদের সমাবেশ হয়েছিল, বাড়তি উদ্যোগী হয়ে তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করতে পারতেন সনিয়া। তৃণমূলের এক নেতার বক্তব্য, “সনিয়া যদি আঞ্চলিক নেতাদের সঙ্গে চা-চক্রেও বসতেন, তা হলেও একটা আলোচনা সূত্রপাত হতো। কিন্তু সে দিক দিয়েও যাননি কংগ্রেস নেত্রী।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement