সনিয়া গাঁধী।—ফাইল চিত্র।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএ-র প্রার্থীকে চ্যালেঞ্জ ছোড়ার মতো প্রার্থী বাছাই নিয়ে তিনি সব দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলছেন। আর এই সুযোগে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের বিরুদ্ধে সব বিরোধী দলকে একজোট করার মহড়াও সেরে নিচ্ছেন সনিয়া গাঁধী।
রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী বাছাই নিয়ে গত সপ্তাহে নীতীশ কুমার, সীতারাম ইয়েচুরির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন সনিয়া। চলতি সপ্তাহে সিপিআই-এর ডি রাজা, জেডি(ইউ)-র শরদ যাদব এবং কাল শরদ পওয়ারের সঙ্গে বৈঠক করেন কংগ্রেস সভানেত্রী। এর পর লালুপ্রসাদ, মায়াবতী, অখিলেশ যাদব, এম কে স্ট্যালিন, ফারুখ আবদুল্লার সঙ্গেও সনিয়ার বৈঠক হওয়ার কথা। কংগ্রেস সূত্রে খবর, এনডিএ-র বিরোধী হিসেবে ইউপিএ-র ধাঁচে একটি মহাগঠবন্ধনের প্রস্তাব রাখা হবে এই সব বৈঠকে।
বিভিন্ন দলের সঙ্গে বৈঠক করার কাজটি যে রাহুলকে না ছেড়ে সনিয়া নিজেই করছেন, তাতে সকলেই খুশি। প্রত্যেকেরই মত, সনিয়ার কথার গুরুত্ব অনেক বেশি। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের মতো বিষয়ে তাঁরই বৈঠক করা উচিত। কিন্তু কংগ্রেস সভানেত্রী যে আসলে ২০১৯-এর লোকসভা ভোটেরই রণকৌশলের মহড়া সেরে নিচ্ছেন, তা-ও বুঝতে পারছেন সকলে। ইয়েচুরি, শরদ যাদব, ডি রাজার মতো নেতাদের মতে, বিরোধী জোট গড়ে তুলতে হলে কংগ্রেসকেই নেতৃত্ব দিতে হবে।
আরও পড়ুন...
চাপা ভয়েই কি তৎপর বিজেপি
সনিয়ার সঙ্গে বৈঠকে শরদ যাদবের মতো নেতারা যুক্তি দিয়েছেন— শুধু রাষ্ট্রপতি ভোট নয়, লোকসভা ভোটের আগে যে সব রাজ্যে বিধানসভা ভোট হবে, সেখানেও বিজেপির বিরুদ্ধে সব বিরোধী দলের এক মঞ্চে আসা প্রয়োজন। তা হলে ২০১৯-এ বিরোধী জোট মজবুত হবে। রাজাও বলেছেন, দেশে অসহিষ্ণুতার সম্মিলিত বিরোধিতা প্রয়োজন। ইয়েচুরি সনিয়াকে বলেছেন, রাষ্ট্রপতি ভবনের নজরদারি ধর্মনিরপেক্ষ হওয়া প্রয়োজন।
এই সুযোগটাই নিতে চাইছেন শরদ পওয়ার। পওয়ার মনে করছেন, তাঁকে সপা, বসপা থেকে তৃণমূল, বাম, সকলেই সমর্থন জানাবে। শিবসেনার সঞ্জয় রাওয়াত বলেন, পওয়ারের রাষ্ট্রপতি হওয়ার সব রকম যোগ্যতা রয়েছে। এমনকী বিজেপিও তাঁকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিতে পারে। ভোটাভুটির বদলে তিনি সর্বসম্মত ভাবে রাষ্ট্রপতি হলে কংগ্রেস সভানেত্রীরই নৈতিক জয় হবে। কংগ্রেসের এক নেতা বলেন, ‘‘এক সময় শরদ পওয়ার প্রধানমন্ত্রীর পদের স্বপ্ন দেখতেন। এখন রাষ্ট্রপতি হতে চান। তাই এক দিন যাঁকে বিদেশিনি বলে তিনি কংগ্রেস ছেড়েছিলেন, আজ তাঁর দশ জনপথের বাড়িতে যেতেও দ্বিধা করছেন না।’’