২০০১ সালে এসপিও হিসেবে পুলিশে যোগ দেন গুলাম। ২০১৩ সালে কনস্টেবল পদে নিয়োগ করা হয় তাঁকে। কাশ্মীরে সম্প্রতি বেশ কয়েক জন পুলিশকর্মীকে খুন
করেছে জঙ্গিরা।
প্রতীকী ছবি।
‘‘আমার বাবা কারও ক্ষতি করেননি কখনও। তাহলে তাঁকে খুন হতে হল কেন?’’ কাঁদতে কাঁদতে প্রশ্ন করছেন এজাজ হাসান দার। আশপাশের সকলেরই চোখে জল। কিন্তু এজাজের প্রশ্নের জবাব কারও জানা নেই।
গত কাল শ্রীনগরের আলি জান রোড এলাকা দিয়ে মোটরবাইকে যাচ্ছিলেন জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের কনস্টেবল গুলাম হাসান দার। তখনই তাঁকে গুলি করে জঙ্গিরা। আহত অবস্থায় সৌরা এলাকার হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
গত কাল রাতে শ্রীনগরে নিহত গুলামকে শ্রদ্ধা জানান আইজি বিজয় কুমার-সহ সেনা ও পুলিশের শীর্ষ কর্তারা। তার পরে গুলামের দেহ নিয়ে যাওয়া হয় শ্রীনগরের ডানওয়ার ইদগাহ এলাকায় তাঁর বাড়িতে। নম্র স্বভাবের পরোপকারী গুলামের বাড়িতে জড়ো হন এলাকার প্রায় সব বাসিন্দা। গত কাল রাতেই তাঁর শেষকৃত্য হয়।
আজও ডানওয়ার ইদগাহে গুলামের বাড়ি থেকে শোনা যাচ্ছে কান্নার শব্দ। ঘটনার খবর শোনার পর থেকেই মানসিক আঘাতে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন গুলামের মেয়ে। তিনি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। আপাতত হাসপাতালে। ইদের ঠিক আগে নতুন একটি বাড়িতে উঠে এসেছিলেন দার পরিবারের সদস্যেরা। গুলামের ছেলে এজাজ বলছিলেন, ‘‘সবই তো ঠিক চলছিল। হঠাৎ নিষ্ঠুর কয়েক জনের হাত বাবাকে কেড়ে নিল।’’ এজাজ পাথর কাটার
কাজ করেন। তাঁর দুই সন্তান।
বললেন, ‘‘ছ’জনের সংসারের খরচ চালাব কী ভাবে সেটাই এখন ভেবে পাচ্ছি না।’’
এজাজের ভাই আলি মহম্মদ দারের বক্তব্য, ‘‘এটা সন্ত্রাস। ঠাণ্ডা মাথায় খুন। আমার আশা খুনিদের দ্রুত শাস্তি হবে। সেই সঙ্গে গুলামের পরিবারের পুনর্বাসনের বিষয়ে উপ-রাজ্যপাল মনোজ সিন্হার পদক্ষেপ করা উচিত।’’
আলি মহম্মদ দার জানাচ্ছেন, আপদে বিপদে আশপাশের সকলের পাশে দাঁড়াতেন গুলাম। তাঁর কথায়, ‘‘পুলিশকর্মীদের খুন করে কোনও লাভ হবে না। পুলিশকর্মীদের খুন করে স্বাধীনতা পাওয়া যায় না।’’
২০০১ সালে এসপিও হিসেবে পুলিশে যোগ দেন গুলাম। ২০১৩ সালে কনস্টেবল পদে নিয়োগ করা হয় তাঁকে। কাশ্মীরে সম্প্রতি বেশ কয়েক জন পুলিশকর্মীকে খুন
করেছে জঙ্গিরা।