দুর্ঘটনায় মৃত্যু তরুণীর। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
বাড়িতে কাউকে না জানিয়ে স্পোর্টস বাইক চালানোর প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন ২৮ বছরের সোমিতা সিংহ। যে গোষ্ঠীর সদস্যদের কাছে প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন, তাদের থেকে বাইক ভাড়া নিয়ে পাড়ি দিয়েছিলেন গুরুগ্রামের একটি ক্যাফেতে। নয়ডায় নিজের বাড়িতে ফেরার পথে গাড়ির ধাক্কা বাইকে। বাইকটি অক্ষত থাকলেও প্রাণ হারালেন সোমিতা। তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের পরে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমিতা আদতে উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের বাসিন্দা। পেশায় তিনি সফ্টঅয়্যার ই়ঞ্জিনিয়ার। আট মাসে আগে নয়ডার একটি সংস্থায় নিযুক্ত হন। সেই থেকে একাই নয়ডায় থাকতেন। বাইক চালাতে খুব ভালবাসতেন। বিশেষত স্পোর্টস বাইক। তাই বাইক আরোহীদের এক গোষ্ঠীতে যোগ দেন। স্পোর্টস বাইক চালানো শিখতেও শুরু করেন। ওই গোষ্ঠী স্পোর্টস বাইক ভাড়াও দিত। সোমিতার সহকর্মীরা জানিয়েছেন, ছুটির দিনে ওই গোষ্ঠীর সদস্যদের সঙ্গে পাড়ি দিতেন তিনি। যদিও বাড়ির লোকজন এ সব কিছুই জানতেন না।
পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার বাইক আরোহীর ওই গোষ্ঠীর প্রায় ২৫ জন সদস্যের সঙ্গে বাইক চালিয়ে গুরুগ্রামের এক ক্যাফেতে গিয়েছিলেন সোমিতা। ফেরার পথে তাঁর বাইকে ধাক্কা দেয় একটি গাড়ি। বাদশাহপুর থানা এলাকায় এই ঘটনা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। অফিসার নবীন কুমার জানিয়েছেন, দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন সোমিতা। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসা চলাকালীন তাঁর মৃত্যু হয়। ঘাতক গাড়ির চালকের খোঁজ মেলেনি। পুলিশ মামলা রুজু করে খোঁজ শুরু করেছে।