ফাইল চিত্র
অসমের কোকরাঝাড়ে গুলিতে নিহত গো-মাফিয়া ভ্রাতৃদ্বয় আকবর ও সলমন বানজারা প্রায় তিনশো কোটি টাকার মালিক ছিল। তাদের হাতে ছিল দেড়শো জন সশস্ত্র গুন্ডার বাহিনী। পুলিশ সূত্রে খবর, অসমে গরু পাচার চক্রে জড়িত বানজারা ভাইদের ধরতে সাত-আট বার উত্তরপ্রদেশের মেরঠ পাড়ি দিয়েছিল অসম পুলিশ। কিন্তু প্রভাবশালী চক্রের ঘনিষ্ঠ বানজারা ভাইয়েদের ধরা যায়নি।
অসম পুলিশের এক কর্তার কথায়, উত্তরপ্রদেশ পুলিশকেও চাপে ফেলেছিল আকবর-সলমন। শেষ পর্যন্ত ১৩ এপ্রিল মেরঠ পুলিশ অন্য এক মামলায় তাদের ধরলে খবর পেয়ে দু’জনকে ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে আসে অসম পুলিশ। তার পরেই গুলিতে মৃত্য হয় তাদের।
পুলিশের দাবি, সোমবার গভীর রাতে তাদের নিয়ে পাচারের রাস্তা দেখতে যাচ্ছিলেন তদন্তকারীরা। তখনই লুকিয়ে থাকা হানাদারেরা পুলিশের গাড়ির উপরে এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। গুলিতে কয়েক জন পুলিশ আহত হলেও মারা যায় আকবর ও সলমন বানজারা।
পুলিশের দাবি, আক্রমণকারীরা গরু চোরাচালান চক্রেরই লোক ছিল। তাদের হাতে ছিল একে-৪৭ রাইফেল। গাড়ির আরোহী বাকি পুলিশকর্মী গাড়ি থেকে নেমে প্রাণে বাঁচলেও গাড়িতে থাকায় গুলিতে ঝাঁঝরা হয় বানজারা ভাইরা। এত দিন ‘পালাতে গিয়ে গুলি’-র পরে এ বারে ‘অ্যামবুশে অপরাধীর মৃত্যু’-র ঘটনা নিয়ে নানা মহলে সন্দেহ উঠলেও বানজারাদের অপরাধের খতিয়ান দেখে মুখ খোলেনি মানবাধিকার সংগঠন থেকে শুরু করে
কোনও পক্ষ।
মীরাট, বিজনৌর-সহ উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন স্থানে ৫০০ বিঘার উপরে জমি, ৩০০ কোটি টাকার সম্পত্তি থাকা আকবর উত্তরপ্রদেশ থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত গরু পাচার নিয়ন্ত্রণ করত। পশ্চিমবাংলায় গরু চোরাচালানে নজরদারি বাড়ায় অসম দিয়ে বাংলাদেশে গরু পাচার করত তারা। পশ্চিম ইম্ফল আদালত বলেছে— সানাওজামের কিছু মন্তব্য অশোভন। তবে আপত্তিকর মন্তব্য মানেই দেশদ্রোহ নয়। কেউ সরকারের পক্ষে বা বিপক্ষে মত প্রকাশ করতেই পারেন।
কিন্তু সানাওজামের বিরুদ্ধে জমা দেওয়া চার মিনিটের ভিডিয়োয় কোথাও দেশদ্রোহের অভিযোগ প্রমাণ হয় না। তাই তাঁকে জেলে রাখারও প্রয়োজন নেই। ওই প্রতিষ্ঠিত আইনজীবীর পালানোর বা সাক্ষ্য-প্রমাণ নষ্ট করারও কোনও সম্ভাবনা নেই। তাই তাঁর জামিন বহাল রাখা হল।