সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা (এসকেএম) এ বার ‘দিল্লি চলো’ আন্দোলনেও যোগ দিল। ছবি: পিটিআই।
গত বার কৃষক আন্দোলনের সাফল্যে তাদের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। সেই সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা (এসকেএম) এ বার ‘দিল্লি চলো’ আন্দোলনেও যোগ দিল। এত দিন ওই আন্দোলনে তারা অংশ নেয়নি। বৃহস্পতিবার চণ্ডীগড়ে সংগঠনের বৈঠক হয়েছে। সেখানেই আন্দোলনে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এসকেএমের কৃষক নেতারা। ঘোষণা করা হয়েছে, শুক্রবার ‘আক্রোশ দিবস’ বা ‘কালো দিন’ পালন করবে তারা।
২০২০-২১ সালে কেন্দ্রের আনা তিনটি কৃষি বিলের বিরুদ্ধে সংগঠিত আন্দোলন গড়ে তুলেছিল এসকেএম। আন্দোলনের ঝাঁঝেই সেই বিল পরে প্রত্যাহার করা হয়। সম্প্রতি পঞ্জাব-হরিয়ানা সীমান্তে আবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন একাংশের কৃষকেরা। কেন্দ্রের কাছে নিজেদের দাবিদাওয়া পৌঁছে দিতে তাঁরা ‘দিল্লি চলো’ ডাক দিয়েছেন। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই কৃষক আন্দোলনে অংশ নেয়নি এসকেএম। বৃহস্পতিবার আন্দোলনে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে সংগঠনের বৈঠকে।
পঞ্জাব এবং হরিয়ানার সীমান্ত থেকে কৃষকেরা দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। সীমান্তে পুলিশের সঙ্গে তাঁদের সংঘর্ষ চলছে। প্রায় প্রতি দিনই সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে সীমান্ত এলাকা। বুধবারও পুলিশের বিরুদ্ধে কৃষকদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ার অভিযোগ উঠেছিল। খনৌরি সীমান্তে এক তরুণ কৃষকের মৃত্যুও হয়েছে সেই সংঘর্ষে। ইতিমধ্যে কেন্দ্রের সঙ্গে কৃষক প্রতিনিধিদের কয়েক দফা বৈঠক হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সমাধানসূত্র মেলেনি।
এসকেএমের জাতীয় সংযোগরক্ষাকারী কমিটি এবং জেনারেল বডি চণ্ডীগড়ে কৃষক আন্দোলন পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করে বৃহস্পতিবার। সেখান থেকেই শুক্রবার ‘কালো দিন’ ঘোষণা করা হয়েছে। কৃষক নেতা অভীক সাহা সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, ‘‘শুক্রবার থেকে আমরা সারা ভারতে মেগা কর্মসূচি শুরু করছি। প্রথম কর্মসূচি হল ‘কালো দিবস’ পালন। আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে ‘ট্র্যাক্টর প্রদর্শন’ কর্মসূচি পালন করব। আগামী ১৪ মার্চ দিল্লির রামলীলা ময়দানে ‘অল ইন্ডিয়া কিষাণ মজদুর মহাপঞ্চায়েত’ আয়োজিত হবে। লাখের বেশি মানুষ তাতে জড়ো হবেন বলে আমাদের আশা।’’
বুধবার পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে কৃষকের মৃত্যুর পরেও বিক্ষোভ দেখায় এসকেএম। ওই মৃত কৃষকের পরিবারের জন্য এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে তারা।