ফটক আটকে ঘরেই লালু প্রসাদ

গৃহকর্তা তো বটেই, দেখা মিলল না তাঁর ছোট ছেলেরও। ঘরণী বরাবরই পছন্দ করেন অন্দরমহল। পটনার ১০ নম্বর সার্কুলার রোডের সবুজ ফটকের ওই বাড়িতে সোমবার তা-ই ছিল অচেনা নিস্তব্ধতা।

Advertisement

দিবাকর রায়

পটনা শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০১৭ ০৪:০৮
Share:

সুনসান: সার্কুলার রোডে লালুর বাড়ির সামনে। নিজস্ব চিত্র

গৃহকর্তা তো বটেই, দেখা মিলল না তাঁর ছোট ছেলেরও। ঘরণী বরাবরই পছন্দ করেন অন্দরমহল। পটনার ১০ নম্বর সার্কুলার রোডের সবুজ ফটকের ওই বাড়িতে সোমবার তা-ই ছিল অচেনা নিস্তব্ধতা।

Advertisement

বন্ধ ফটকের পাশে লণ্ঠনের ‘মডেল’ লাগানো সেই বাড়িতেই রাবড়ীদেবী আর ছোট ছেলে তেজস্বীর সঙ্গে থাকেন লালু প্রসাদ। বৈশাখের তপ্ত দুপুরে তার সামনে জটলা করে থাকা সাংবাদিক-কুলের এক জন বলেই ফেললেন, ‘‘ঘুর্ণিঝড়ের আগে এমনই চুপচাপ হয়ে যায় সব কিছু।’’

সকাল থেকে পটনার রাজনৈতিক মহলের নজর ছিল সুপ্রিম কোর্টের দিকে। পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি নিয়ে সর্বোচ্চ আদালত কী বলে, তা জানতে বিজেপি, আরজেডি, জেডিইউ দফতরে ভিড় জমে টিভির সামনে। আদালত সিবিআইকে লালু প্রসাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০বি ধারায় অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের নতুন মামলা দায়েরের নির্দেশ দিতেই সরগরম হয়ে ওঠে গোটা পটনা।

Advertisement

আরও পড়ুন:আরও বিপদে লালু প্রসাদ

আরজেডি মুখপাত্র মনোজ ঝা বলেন, ‘‘আইনের পথেই মোকাবিলা হবে।’’ সুযোগ পেয়ে তোপ দাগতে শুরু করে বিরোধী শিবির। নিশানা করা হয় নীতীশকেও। বিজেপি নেতা সুশীল মোদী বলেন, ‘‘নীতীশ চান লালুর পরিবার নতমস্তক হয়।’’ জোট ভেঙে নীতীশ বেরিয়ে এলে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তাঁকে সমর্থনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বলেও জানান সুশীল। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতনকুমার মাঁঝিও বলেন, ‘‘নীতীশ কুমার সাহায্য চাইলে পাশে দাঁড়ানো উচিত এনডিএ-র।’’ বিজেপি রাজ্য সভাপতি নিত্যানন্দ রায় বলেন, ‘‘নীতীশ কুমারকে সমর্থন দেওয়ার কথা ভুল। এমন কিছু সুশীল মোদী বলেননি।’’ জেডিইউ প্রধান কে সি ত্যাগী বলেন, ‘‘সিবিআই আচমকাই খুব সক্রিয় হয়ে উঠেছে।’’ প্রাক্তন সাংসদ শিবানন্দ তিওয়ারি বলেন, ‘‘মহাজোটের উপরে প্রভাব পড়বে না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement