খোদ বিচারকের বিরুদ্ধেই হাইকোর্টে অভিযোগ দায়ের করতে চলেছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা করিমগঞ্জের কংগ্রেস বিধায়ক সিদ্দেক আহমেদ।
২০১১ সালে রেজাউল করিম নামে এক ব্যক্তিকে মারধরের ঘটনায় সিদ্দেকের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছিল করিমগঞ্জ এডিজেএম আদালত। বারবার ডেকে পাঠানো সত্ত্বেও সিদ্দেক হাজির না হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে ‘রোভিং ওয়ারেন্ট’ জারি করা হয়। সিদ্দেককে পাসপোর্ট জমা দেওয়ার নিদের্শ দেন করিমগঞ্জের জেলা অতিরিক্ত মুখ্য বিচারক। সিদ্দেক অসুস্থ হয়ে গুয়াহাটির হাসপাতালে ভর্তি হন। তিনি গৌহাটি হাইকার্টে আবেদন জানান, ওই মারপিটের ঘটনা নিয়ে হাইকোর্টেও একটি মামলা চলছে। ঘটনার চার্জশিটে তাঁর নাম নেই। নিম্ন আদালত তাঁকে বিনা কারণে হয়রান করছে। হাইকোর্ট রায় দেয়, ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত তাঁকে করিমগঞ্জ আদালতে হাজির হতে হবে না। তার পরও পাথারকান্দি থানার ওসি আর পি সিংহের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল সিদ্দেককে ধরতে গুয়াহাটি পৌঁছন। ৯ এপ্রিল স্পিকারের অনুমতি নিয়ে পুলিশের দলটি সিদ্দেকের সরকারি আবাসে তল্লাশি চালায়।
এ সব ঘটনায় ক্ষুব্ধ সিদ্দেক অভিযোগ করেন, তাঁর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক চক্রান্ত চলছে। ইচ্ছাকৃত ভাবে তাঁকে হয়রান করা ও ভাবমূর্তি খারাপ করার জন্য নিম্ন আদালত এমন রায় দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘হাইকোর্ট আমাকে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত সময় দিয়েছে। নিম্ন আদালতের বিচারক তিন-চারদিন পর পর আমার নামে ওয়ারেন্ট জারি করছেন। এটা হাইকোর্টকে অবজ্ঞা করার সামিল। মারপিটের ঘটনায় সরাসরি জড়িত নই। বিটিসি নির্বাচনের প্রচার নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীনও ছিলাম। আমাকে এক জন পলাতক অপরাধীর তকমা দেওয়া হচ্ছে। এই ঘটনার পিছনে কোনও চক্রান্ত রয়েছে।’’ সিদ্দেককে আশ্রয় দেওয়া ও বিনা অসুস্থতায় হাসপাতালে ভর্তি রাখার অভিযোগে গুয়াহাটির একটি হাসপাতাল ও সেখানকার চিকিৎসকের লাইসেন্স বাতিল করারও নির্দেশ দিয়েছে করিমগঞ্জের এডিজেএম আদালত। এ নিয়ে সিদ্দেক বলেন, ‘‘আমি অসুস্থ ছিলাম কী না বিচারক তা বুঝে গেলেন? তিনি এ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শও তো নেননি।’’ সিদ্দেকের দাবি, বিচারক হলেও এডিজেএম আইনের ঊর্দ্ধে নন। তা-ই তিনি বিহুর পরে, ওই বিচারকের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করবেন।