শ্রদ্ধা হত্যার ১৮ দিন পরে কেন মুম্বই থেকে আসবাবপত্র আনানোর কথা মনে হল আফতাবের, সেটাই তদন্ত করে দেখতে চায় পুলিশ। ফাইল চিত্র।
বান্ধবী শ্রদ্ধা ওয়ালকরকে নিয়ে সম্ভবত কিছুটা তাড়াহুড়োর মধ্যেই দিল্লির উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন আফতাব আমিন পুণাওয়ালা। কারণ মুম্বইয়ের ফ্ল্যাট থেকে তখন প্রায় কিছুই সঙ্গে নিয়ে যেতে পারেননি তিনি। মুম্বইয়ের ফ্ল্যাট থেকে সেই সব জরুরি জিনিসপত্র আফতাব দিল্লিতে আনান শ্রদ্ধা খুন হওয়ার আঠারো দিন পরে।
তদন্তে নেমে দিল্লি পুলিশ জানতে পেরেছে, গত ১৮ মে খুন করা হয় শ্রদ্ধাকে। তার আগে আফতাবের সঙ্গে তিনি দিল্লিতে এসেছিলেন ৮ মে। আর আফতাব তাঁর মুম্বইয়ের ফ্ল্যাটের আসবাবপত্র দিল্লিতে আনানোর জন্য একটি সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেন ৫ জুন। মীরা রোডের ওই সংস্থার নাম নাম গুডলাক প্যাকার্স অ্যান্ড মুভার্স। সংস্থাটির মালিক গোবিন্দ যাদব জানিয়েছেন, ওই দিন সংস্থাটিকে অনলাইনে ২০ হাজার টাকাও দেন আফতাব। মুম্বইয়ের ফ্ল্যাট থেকে ৩৭টি প্যাকিং বাক্স আনানোর জন্য ওই টাকা দেওয়া হয়েছিল বলেও পুলিশকে জানিয়েছেন গোবিন্দ। এই সমস্ত আসবাবপত্রের মধ্যে ছিল ওয়াশিং মেশিন-সহ বাড়িতে দৈনন্দিন ব্যবহারের জিনিসপত্রও। সেই সব জিনিস ফ্ল্যাট থেকে সরানোর আগে পরীক্ষাও করেছিলেন আফতাবের ভাসাইয়ের ফ্ল্যাটের মালিক।
শ্রদ্ধা-হত্যার তদন্তে নামা দিল্লি পুলিশ এই ঘটনায় অসঙ্গতি দেখছে। তদন্তে তারা জেনেছে, দিল্লিতে দু’বার হোটেল বদলে এবং এক বন্ধুর বাড়িতে থেকে ছতরপুরের ফ্ল্যাটটিতে থিতু হয়েছিলেন দু’জনে। আবার পুলিশকে আফতাব দিল্লিতে চাকরি নিয়ে আসার কথা জানালেও দেখা যাচ্ছে দিল্লিতে আসার আগে জিনিসপত্র সরানোর ব্যাপারে কোনও প্রস্তুতিই নেননি শ্রদ্ধারা। যদিও আফতাব পুলিশকে জানিয়েছিলেন, রাজধানীতে একটি চাকরির জন্য আগেই দরখাস্ত করেছিলেন আফতাব। সেই চাকরি হওয়ার অপেক্ষা করছিলেন তিনি। অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার পাওয়ার পরই তিনি দিল্লি রওনা হন। ফলে প্রস্তুতি নেওয়ার যথেষ্ট সময় পেলেও দিল্লিতে থাকার জায়গা যেমন ঠিক করেননি আফতাব, তেমনই মুম্বই থেকে জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়ার কথাও ভাবেননি।