শ্রদ্ধা ওয়ালকর খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের আবেদন। —ফাইল ছবি
শ্রদ্ধা ওয়ালকর খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হলেন এক আইনজীবী। দিল্লি হাই কোর্টে এই মামলা করা হয়েছে। দিল্লি পুলিশের হাত থেকে তদন্তভার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন মামলাকারী আইনজীবী জোশিনা তুলি।
মামলাকারীর দাবি, দিল্লি পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত ঠিকমতো করতে পারছে না। অনেক ক্ষেত্রে তারা প্রযুক্তিগত ভাবে পিছিয়ে আছে। খুনটি হয়েছিল মাস ছয়েক আগে। তাই তার তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করা দিল্লি পুলিশের কাছে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই মামলার তদন্তের জন্য দিল্লি পুলিশের কাছে পর্যাপ্ত কর্মীও নেই বলে দাবি করেছেন মামলাকারী।
মামলাকারীর আরও দাবি, যে ভাবে এই মামলার তদন্ত চলছে, সেই প্রক্রিয়া সঠিক নয়। কারণ, প্রতি দিন আদালত চত্বরে এবং ঘটনাস্থলে ভিড় করছেন মানুষ। সংবাদমাধ্যম এবং স্থানীয়দের উপস্থিতিতে তদন্তের অগ্রগতি বাধা পাচ্ছে। যে ফ্ল্যাটে শ্রদ্ধাকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ, সেই ফ্ল্যাটটিকেও যথাযথ নিরাপত্তা দেওয়া হয়নি বলে আদালতে জানিয়েছেন মামলাকারী। তাঁর অভিযোগ, দিল্লি পুলিশের তরফে ঘটনাস্থল সিল করা হয়নি। ফলে রোজ সাংবাদিক এবং স্থানীয়দের ভিড় লেগেই আছে ছতরপুরের সেই আবাসনে। অপরাধস্থল যেন হয়ে উঠেছে ঘুরতে যাওয়ার জায়গা। এতে তদন্তের ক্ষতি হচ্ছে।
মামলাকারী জানান, সংবাদমাধ্যমে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অনেক গুরুত্বপূর্ণ নথিও প্রকাশ হয়ে পড়ছে, তদন্তের স্বার্থে যা হয়তো গোপন রাখা বাঞ্ছনীয়। এই সমস্ত কারণ দেখিয়ে দিল্লি পুলিশের হাত থেকে তদন্তভার সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে আদালতে। পরিবর্তে মামলাকারী জানিয়েছেন, শ্রদ্ধা-খুনের তদন্তে সিবিআইয়ের গোয়েন্দাদের উপরেই আস্থা রাখা উচিত। কবে এই মামলার শুনানি হবে, তা এখনও জানা যায়নি।
দিল্লির ছতরপুরের ফ্ল্যাটে লিভ-ইন সঙ্গী তথা প্রেমিকা শ্রদ্ধাকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর প্রেমিক আফতাবের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, খুনের পর সেই মৃতদেহ টুকরো টুকরো কেটেছেন আফতাব। তার পর তা রেখে দিয়েছিলেন ফ্রিজে। প্রতি দিন একটি একটি করে দেহাংশ তিনি নিকটবর্তী জঙ্গলে ফেলে আসতেন। পুলিশের কাছে আফতাব নিজের ‘কীর্তি’ স্বীকার করে নিয়েছেন বলে দাবি। তদন্তের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে প্রায় প্রতি দিনই এই নৃশংস ঘটনার খুঁটিনাটি প্রকাশ্যে আসছে। এ বার এই তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার আবেদন গেল উচ্চ আদালতেও।