প্রতীকী ছবি।
পর্যাপ্ত রেশন না মেলায় চিনা খাবারের উপরে ভরসা করতে হচ্ছে উত্তরাখণ্ডের কুমায়ুণের একটি আদিবাসী গ্রামকে। ভারতের থেকেও সীমানা পেরিয়ে নেপালে গিয়ে সেখান থেকে চিনা খাবার কিনে আনতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা!
কুমায়ুণের ভ্যাস ভ্যালি গ্রাম। মূলত আদিবাসী সম্প্রদায়ের বাস এই গ্রামে।আদিবাসীদের নেতা কৃষ্ণা গারবিয়াল জানান, পরিবার পিছু সরকারি ৫ কেজি গম এবং ২ কেজি চাল রেশন বরাদ্দ রয়েছে।কিন্তু রেশনের এই পরিমাণ যথেষ্ট নয় পরিবারগুলোর জন্য। তার উপর যথেষ্ট বিপদসঙ্কুলপাহাড়ি এলাকায় ওই গ্রামটি রয়েছে, পরিবহণ ব্যবস্থাও ভাল নয়। তাই বরাদ্দ রেশনও সময়মতো ওই পরিবারগুলোর কাছে পৌঁছয় না।
তিনি জানান, সম্প্রতি ভ্যাস ভ্যালির বাসিন্দাদের প্রতিনিধি হিসাবে দারচুলার সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে দেখাও করেন। রেশনের বরাদ্দ বাড়ানোর আর্জিও জানিয়েছেন। কিন্তু তাতে কোনও কাজ হয়নি। তার উপর বর্ষায় পাহাড়ি রাস্তায় ধস নামায় রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে শেষ বর্ষা শুরুর আগে বাসিন্দাদের কাছে রেশন পৌঁছেছিল। ফলে একপ্রকার বাধ্য হয়েই তাঁদের চিনা খাবারে ভরসা করতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: দাম ১৪ লক্ষ ডলার, নিলাম শেষেই ‘সুইসাইড’ ছবির!
কী ভাবে চিনা খাবারের সরবরাহ হয় তাঁদের কাছে?
গারবিয়াল জানান, ভ্যাস ভ্যালির পাশ দিয়েই বয়ে গিয়েছে কালি নদী।এই নদীর উপরে সেতু দিয়ে পারাপার করেই নেপালে পৌঁছন বাসিন্দারা। নেপালের তিংকার এবং চাংরু বাজার থেকে ‘চাইনিজ ফুড’ কিনে ফেরেন তাঁরা।
সম্প্রতি সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেটকে গ্রামবাসীরা একটি চিঠি লিখেছেন। কৈলাস মানসরোবরে পর্যটকদের নিয়ে যাওয়ার জন্য যে হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হয়, সেই হেলিকপ্টারে রেশন সরবরাহ করা সম্ভব কি না তা খতিয়ে দেখতে অনুরোধ জানিয়েছেন তাঁরা।