অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যে রাজভবন এবং নানা কেন্দ্রীয় সংস্থাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কাজে লাগানো হচ্ছে বলে অভিযোগে ফের সরব হলেন বিরোধী শিবিরের এক নেতা। শিবসেনার নেতা ও মুখপাত্র সঞ্জয় রাউতের ওই অভিযোগের পাশেই দাঁড়াল তৃণমূল কংগ্রেস। দু’পক্ষেরই মত, বিরোধী শিবিরকে একজোট হয়ে এই আক্রমণের মোকাবিলা করতে হবে।
মহারাষ্ট্রে শিবসেনা, এনসিপি ও কংগ্রেস জোট সরকারের মন্ত্রী নবাব মালিককে সম্প্রতি গ্রেফতার করেছে ইডি। বলিউড তারকা শাহরুখ খানের পুত্রকে মাদক-কাণ্ডে যখন গ্রেফতার করা হয়েছিল, সেই সময়ে মাদক নিয়ন্ত্রণ শাখার (এনসিবি) সংশ্লিষ্ট অফিসারের কাজকর্ম নিয়ে ধারাবাহিক ভাবে সরব ছিলেন মালিক। তাঁকে ইডি গ্রেফতার করার পরে এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ারের সঙ্গে ফোনে কথা বলে ‘রাজনৈতিক অভিসন্ধি’র প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পওয়ারের দলের নেতা রাউত শুক্রবার মহারাষ্ট্রের ওই ঘটনার পাশাপাশি বাংলার উদাহরণ টেনে দিল্লিতে সরব হয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, কোনও রাজ্যে ভোটে হেরে গেলে বিজেপি সেখানে রাজভবন ও কেন্দ্রীয় সংস্থার অপপ্রয়োগ করছে। তাঁর বক্তব্য, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে কী হচ্ছে, আপনারা দেখতে পাচ্ছেন। খুবই কদর্য রাজনীতি। যখনই নির্বাচনে হেরে যাবে, তখনই দেশে রাজভবন ও কেন্দ্রীয় সংস্থার অপব্যবহার করা হবে!’’ বাংলায় রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাতের প্রসঙ্গও তোলেন তিনি। মমতা-পওয়ার কথোপকথনের প্রেক্ষিতে তাঁর মন্তব্য, ‘‘কী ধরনের গণতন্ত্র এটা? আমাদের সবাইকে এক হয়ে লড়তে হবে।’’
রাউতের মতকে সমর্থন করেই তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় মুখপাত্র সুখেন্দুশেখর রায় বলেছেন, ‘‘আমরাই এই আক্রমণের প্রথম শিকার। তবে যে ভাবে তা প্রতিরোধ করেছি, সময় এসেছে জাতীয় স্তরেও সম্মিলিত ভাবে আমাদের সকলের সেই পথ নেওয়ার।’’
বিজেপি অবশ্য তাদের পুরনো সঙ্গী শিবসেনাকে পাল্টা কটাক্ষ করেছে। রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের মন্তব্য, ‘‘বিজেপি-র সঙ্গে জোট করে ভোটে লড়ে তার পরে কংগ্রেস-বিরোধী জনাদেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে যাঁরা বাল ঠাকরের সারা জীবনের মতাদর্শকে ছুরি মেরেছেন, যাঁরা শিবাজী পার্কে আফজল খাঁ আর শিবাজীর সন্ধি করিয়েছেন, সুস্থ স্বাভাবিক কোনও মানুষ তাঁদের কথা গ্রহণ করবেন না!’’