উদ্ধব ঠাকরে।
ধনতেরসে তেমন বিক্রিবাটা হয়নি। রবিবার দীপাবলির দিনেও দিল্লি-মুম্বইয়ের বাজার ছিল প্রায় ফাঁকা। সোমবার এনডিএ সরকারের অন্যতম প্রধান শরিক শিবসেনা সে দিকে আঙুল তুলে প্রশ্ন ছুড়ল, ‘ইতনা সন্নাটা কিঁউ হ্যায় ভাই?’
মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন নিয়ে বিজেপির সঙ্গে শিবসেনার দর কষাকষি চলছে। কিন্তু শিবসেনা তো শুধু মহারাষ্ট্রে বিজেপির শরিক নয়। কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদী সরকারেও অন্যতম শরিক। ভারী শিল্প মন্ত্রকের ভার শিবসেনা নেতা অরবিন্দ সাবন্তের হাতে। সেই শিবসেনাই ‘শোলে’ সিনেমার সংলাপকে হাতিয়ার করে অর্থনীতির ঝিমুনি, ফাঁকা বাজার নিয়ে কটাক্ষ করায় অস্বস্তিতে পড়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব।
শিবসেনার দলীয় মুখপত্রে লেখা হয়েছে, ‘অর্থনীতির ঝিমুনির আশঙ্কায় বিক্রি ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ কমেছে। শিল্প মার খাচ্ছে। বেশ কিছু কারখানা বন্ধ হওয়ায় চাকরি গিয়েছে।
অন্য দিকে কেন্দ্রীয় সরকার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ভাঁড়ার থেকে টাকা তুলে নিতে বাধ্য হয়েছে। দীপাবলির বাজারেও নীরবতা। অকাল বর্ষণে ফসল নষ্ট হওয়ায় চাষিরা সব থেকে বেশি ধাক্কা খেয়েছেন। দুর্ভাগ্যজনক হল, এই সঙ্কট থেকে কী ভাবে তাঁদের বার করে আনা যায়, তা নিয়ে কেউ কথা বলছেন না।’
দীপাবলির আগে ধনতেরসে মানুষ সোনা কেনে। এ বার সোনার বিক্রিতে ভাটার টান। উল্টে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক নিজেদের মজুত সোনা বিক্রি করতে শুরু করেছে। আজ কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা সরকারকে আক্রমণ করে টুইট করেছেন, ‘‘গত কাল গোটা ভারতে ধন-সমৃদ্ধির উৎসব পালিত হয়েছে। কিন্তু এ বার দীপাবলি সকলেরই ফিকে কাটল বলে মনে হয়েছে। বিজেপি সরকার গোটা দেশ থেকেই সমৃদ্ধি বাদ
দিয়ে দিয়েছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ককেও দুর্বল করে দিয়েছে।’’
ব্যবসায়ীদের সর্বভারতীয় সংগঠন সিএআইটি-ও মানছে, ধনতেরসে বাজার চাঙ্গা হয়নি। সংগঠনের মহাসচিব প্রবীণ খাণ্ডেলওয়ালের মতে, গত দশ বছরে এ বারের ধনতেরস সব থেকে হতাশাজনক। গত বছরের তুলনায় ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ বিক্রি কমেছে।
সোনা-রুপোর বিক্রি ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ কমেছে। বাসনপত্র, রান্নাঘরের সামগ্রী, বৈদ্যুতিন সামগ্রীর বিক্রিও ৪০ শতাংশ কমেছে। শিবসেনা এবং সিএআইটি-র অভিযোগ, অনলাইন সংস্থাগুলি কম দামে জিনিস বিক্রির ফলে ব্যবসায়ীরা আরও সমস্যায় পড়ছেন।