ফাইল চিত্র।
চিড় খাওয়া সম্পর্কটা কি আদৌ জোড়া লাগবে? নাকি শরিকি সম্পর্কে ইতি টেনে পাকাপাকি ভাবে দুই আলাদা দিকে ছিটকে যাবে শিবসেনা এবং বিজেপি? বুধবার শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে বৈঠক করে নাকি গতিক সুবিধের নয় বলে বুঝতে পেরেছেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। পরিস্তিতি এতটাই খারাপ যে মহারাষ্ট্রের বিজেপি নেতাদের তিনি একা লড়াইয়ের জন্য তৈরি হতে বলেছেন।
কিন্তু কেন? মুম্বইয়ে দুই নেতার বৈঠকের পর কোনও সাংবাদিক সম্মেলন হয়নি। দেওয়া হয়নি লিখিত বিবৃতি। কিন্তু জানা যাচ্ছে, অমিত শাহের কাছে দু’টি দাবি করেছেন উদ্ধব। প্রথমত: ২০১৯ সালে মহারাষ্ট্র বিধানসভায় ২৮৮টি আসনের মধ্যে শিবসেনা চেয়েছে ১৫২টি আসন। একই সঙ্গে তাদের দাবি, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি।
উদ্ধবের দাবিতে নাকি হকচকিয়ে যান অমিত শাহ। আশ্বাসবাণী তো দূরের কথা, তিনি বলেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে পরে ভেবে দেখা হবে।’’ ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপিকে ২৬টি আসন ছেড়েছিল শিবসেনা। তারা নিজেরা লড়েছিল ২২টি আসনে। কিন্তু মহারাষ্ট্র বিধানসভা ভোটে দেখা যায় উল্টো ছবি। জোট না করে দুই দল লড়েছিল একে অন্যের বিরুদ্ধে। এর ফলে শিবসেনা পায় মাত্র ৬২টি আসন। ১২২টি পায় বিজেপি।
আরও পড়ুন: থানায় পুলিশকে চড়, সিসিটিভি-তে ধরা পড়ল বিজেপি বিধায়কের কীর্তি
আরও পড়ুন: বিধ্বংসী আগুনে মুহূর্তে ভেঙে পড়ল বহুতল, দেখুন ভিডিয়ো
বিজেপির প্রশ্ন, ২০১৪ সালে যাদের ঝুলিতে ছিল মাত্র ৬২ আসন, তারা কী করে ১৫২টি আসন দাবি করছে? অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পরেও শিবসেনার জানিয়েছে, লোকসভা তারা একাই লড়বে। কিন্তু সংশয় রয়েছে শিবসেনার অম্দরেও। জোট ভেঙে গেলে আমের সঙ্গে ছালাও যাবে, এমন আশঙ্কা করছে দলেরই একাংশ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিবসেনা বিধায়কের কথায়, ‘‘লোকসভা ভোটে যদি বিজেপি জেতে, যদি তার পরেও আমরা জোটে না যাই, তবে সেই ভুলের মূল্য আমাদের দিতেই হবে।’’