তাঁর আত্মজীবীর নাম, ‘এনিথিং বাট খামোশ’! বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার বইমেলায় সেই বই প্রসঙ্গে বলতে উঠে বিজেপির তারকা-সাংসদ শত্রুঘ্ন সিন্হা ফের বুঝিয়ে দিলেন, কোনও বিষয়েই চুপ থাকার পাত্র তিনি নন।
গত বছর বিহারে ভোটের সময়ে তাঁর মন্তব্যে বার বার অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি। দলে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘কাছের লোক’, এমন কথাও কেউই বলেন না। কলকাতা বইমেলায় এসেও বিজেপি তথা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি মৃদু খোঁচার সুরটাই বজায় রাখলেন বিহারীবাবু। রাজনীতির কথা বলবেন না-বলে মোদীর নোট-নীতি নিয়ে মুখ খোলেননি ঠিকই। কিন্তু এই মুহূর্তে রাজনীতির ময়দানে প্রধানমন্ত্রী তথা বিজেপি-র কার্যত ঘোষিত শত্রু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন বিহারীবাবু। তাঁর বক্তব্য, মমতার মতো রাজনীতিকরাই যথার্থ জননেতা। অবশ্য জ্যোতি বসু, কাঁসিরাম-মায়াবতীদেরও তিনি এই বন্ধনীভুক্ত করেছেন।
নিজের হারানো মন্ত্রিত্বের কথাও এ দিন তুলেছেন শত্রুঘ্ন। মোদী-বিরোধিতার জন্যই তাঁকে মন্ত্রিসভায় নেওয়া হয়নি বলে অনেকের মত। সে-প্রসঙ্গ ছুঁয়ে শত্রুঘ্ন অবশ্য বলেন, ‘‘মন্ত্রিত্ব নেই বলে আমার কোনও দুঃখ নেই।’’ কলকাতা সাহিত্য উৎসবের উদ্বোধনী আসর এ দিন কার্যত একাই জমিয়ে দেন তারকা-সাংসদ। তাঁর নাম দেশের বিভিন্ন প্রদেশের লোকেরা কী ভাবে উচ্চারণ করেন, তা নিয়ে মজা করে শত্রুঘ্ন বলেন, ‘‘ওঁরা খুব আদর করে আমায় শত্রুঘ্ন সিয়াঁ বলে ডাকেন। আমি শুধরে দিলেও আমল দেন না! কী করব, দেশে এখন গুজরাতিদের কথার উপরে কেউ কথা বলেন না!’’ এই মন্তব্যে তিনি ঘুরপথে মোদীকেই খোঁচা দিয়েছেন বলে অনেকের মত।