আপের রাজ্যসভার সাংসদ রাঘব চড্ডা। — ফাইল চিত্র।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালের গ্রেফতারির পর পরই লন্ডন থেকে একটি ভিডিয়োবার্তা পাঠিয়েছিলেন আপের রাজ্যসভার সাংসদ রাঘব চড্ডা। সেখানে তিনি কেজরীওয়ালের গ্রেফতারিকে ‘ষড়যন্ত্র’ বলে মন্তব্য করেছিলেন। কিন্তু তার পর থেকে কিছুটা ‘অন্তরালে’ই রয়েছেন আপ নেতা। যেখানে দলের অন্যান্য নেতা-নেত্রী রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ-কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন, সেখানে রাঘব কোথায়? এমনই প্রশ্ন তুললেন বিজেপি বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র অন্যতম শরিক দল এনসিপির শরদ পওয়ার গোষ্ঠীর এক নেতা।
শরদ গোষ্ঠীর নেতা জিতেন্দ্র আওহাদ একাধিক বার রাঘবের অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ‘রাঘব চড্ডা কোথায়?’, এমন প্রশ্ন তুলে এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে পোস্ট করেছিলেন জিতেন্দ্র। যদিও পরে সেই পোস্ট মুছে ফেলেন তিনি। তবে এর আগেও জিতেন্দ্রকে রাঘবের অনুপস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে। শনিবার তাঁকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, রাঘব বুদ্ধিমান। তিনি আপের এক জন মূল্যবান সম্পদ। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে তাঁর অনুপস্থিতি আপ কর্মীদের ক্ষতি করছে।
জিতেন্দ্র বলেন, ‘‘আপের সমস্ত নেতাকে আন্দোলনে দেখা যাচ্ছে। অতিশী (মারলেনা) এবং বাকিরা খুবই সক্রিয়। রাঘব দলের মুখ এবং খুবই বুদ্ধিমান মানুষ। তবে তাঁর অন্তর্ধান দলের কর্মীদের মনোবল ভেঙে দিচ্ছে।’’ উল্লেখ্য, রেটিনার একটি জটিল সমস্যায় ভুগছেন রাঘব। তার চিকিৎসা করাতেই লন্ডনে রয়েছেন তিনি। রাঘবের সঙ্গে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী পরিণীতি চোপড়াও।
জিতেন্দ্রর কথায়, ‘‘দূরে থাকার কারণে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা যাচ্ছে না, এখন সে দিন চলে গিয়েছে। এটা খুবই আশ্চর্যজনক যে, তিনি লন্ডনে থাকার কারণে কোনও মন্তব্য করছেন না, প্রতিবাদে অংশ নিচ্ছেন না। তিনি একটি ভিডিয়ো তৈরি করে দলীয় কর্মীদের বার্তা দিতে পারেন।’’
রাঘব আপ প্রধান কেজরীওয়ালের খুবই প্রিয়পাত্র বলে পরিচিত। অতীতে অনেক বার কেজরীওয়ালের সঙ্গে তাঁকে আন্দোলনের সামনের সারিতে থাকতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু সেই রাঘবকেই কেজরীওয়ালের গ্রেফতারির পর তেমন সক্রিয় হতে দেখা যাচ্ছে না। যা নিয়ে আপের মধ্যেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। অনেকেরই প্রশ্ন, কেন এ ভাবে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখছেন রাঘব?
প্রসঙ্গত, দিল্লির আবগারি মামলায় গত ২১ মার্চ ইডির হাতে গ্রেফতার হন কেজরীওয়াল। বর্তমানে আদালতের নির্দেশে ইডি হেফাজতে রয়েছেন তিনি। সোমবারই তাঁর ইডি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। অন্য দিকে, কেজরীওয়ালের গ্রেফতারি-সহ একাধিক ইস্যুতে দিল্লির রামলীলা ময়দানে বিজেপি বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র তরফে একটি সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। সেই সমাবেশে কংগ্রেস, আপ, তৃণমূল-সহ প্রায় ২৮টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের থাকার কথা।