—ফাইল চিত্র।
অসম্পূর্ণ ঈশ্বরের ‘দেহে’ প্রাণ প্রতিষ্ঠা হচ্ছে অযোধ্যায়। রবিবার রামমন্দির নিয়ে আবার সরব হলেন উত্তরাখণ্ডের জ্যোতিষপীঠের শঙ্করাচার্য। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানালেন, আগামী ২২ জানুয়ারি রামমন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান শাস্ত্র না মেনেই করা হচ্ছে। যে ঈশ্বরকে সেদিন প্রতিষ্ঠা করা হবে অযোধ্যায় তাঁর মাথা, চোখ, চুল— কিছুই নেই!
উত্তরাখণ্ডের জ্যোতিষপীঠের শঙ্করাচার্য অভিমুক্তেশ্বরানন্দ রবিবার সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, কেন অযোধ্যার ঈশ্বর অসম্পূর্ণ। শাস্ত্রের ব্যাখ্যা দিয়ে শঙ্করাচার্য বলেন, ‘‘আমি জানি, আগামী ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রামমন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। কিন্তু শাস্ত্র বলছে, প্রতিষ্ঠা তখনই সম্ভব যখন মন্দির সম্পূর্ণ হয়। কারণ মন্দির হল ঈশ্বরের দেহ। দেহ সম্পূর্ণ না হলে তাতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয় কী ভাবে?’’
জ্যোতিষপীঠের শঙ্করাচার্যের ব্যাখ্যা, মন্দির যদি দেহ হয়, তবে তার চূড়ার শীর্ষ বিন্দুটি বা শিখর হল ঈশ্বরের চোখ। মাথার গম্বুজটি ঈশ্বরের মাথা। মন্দিরের মাথায় যে পতাকা ওড়ে তা হল ঈশ্বরের চুলের প্রতীক। অথচ রামমন্দিরে এর কোনওটিই সম্পূর্ণ হয়নি। তাই ঈশ্বরের দেহ সেখানে অসম্পূর্ণ। সেই অসম্পূর্ণ দেহে প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার অর্থ জেনেশুনে শাস্ত্রের বিচলনে সায় দেওয়া।
প্রসঙ্গত, রামমন্দিরে শিশু রামের বিগ্রহে প্রাণ প্রতিষ্ঠার আর ঠিক আট দিন বাকি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সেই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বলে শুরু করেছেন ১১ দিনের বিশেষ ব্রত। আর এর মধ্যেই ক্রমশ অস্বস্তি বাড়ছে দেশের চার শঙ্করাচার্যের একের পর এক মন্তব্যে। ইতিমধ্যেই দেশের চার শঙ্করাচার্য জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা অযোধ্যায় রামমন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন না। এর মধ্যে পুরীর শঙ্করাচার্যও রয়েছেন। রবিবার উত্তরাখণ্ডের শঙ্করাচার্য আরও এক বার বিরূপ মন্তব্য করলেন রামমন্দিরের অনুষ্ঠান নিয়ে।