ওয়েনাড়ে সাংসদ রাহুল গান্ধীর কার্যালয়ে হামলা
সোনা-কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের ইস্তফার দাবি ঘিরে কেরলে বিরোধী কংগ্রেসের সঙ্গে শাসক সিপিএমের বিরোধ চলছিলই। এ বার ওয়েনাড়ে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর কার্যালয়ে সিপিএমের ছাত্র সংগঠনের হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগকে কেন্দ্র করে সেই সংঘাত নতুন মাত্রা পেল। মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন এবং সিপিএম নেতৃত্ব অবশ্য ঘটনায় যুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
ওয়েনাড়ে বনাঞ্চলকে ঘিরে ‘বাফার জ়োন’ তৈরিতে স্থানীয় সাংসদ রাহুল সক্রিয়তা দেখাচ্ছেন না, এই অভিযোগে জেলা সদর কালপেট্টায় সাংসদের কার্যালয়ের সামনে শুক্রবার প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়েছিল এসএফআই। মিছিল করে গিয়ে বিক্ষোভকারীরা রাহুলের কার্যালয়ে ঢুকে পড়ে ভাঙচুর চালান বলে অভিযোগ কংগ্রেস কর্মীদের। ভাঙা হয় বেশ কিছু আসবাব, ছেঁড়া হয় ছবিও। হামলার ঘটনার ভিডিয়ো ফুটেজ দিয়ে সিপিএম সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি কে সুধাকরন, বিরোধী দলনেতা ভি ডি সতীশন, কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুর। বিরোধী দলনেতা অভিযোগ করেন, শাসক সিপিএম রাজ্যে অরাজকতা এবং মাফিয়া-রাজ কায়েম করেছে। তারুর বলেন, ‘‘পিনারাই বিজয়ন এবং সীতারাম ইয়েচুরি কি দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবেন? নাকি নীরব থেকে এই আচরণকে প্রশ্রয় দেবেন?’’
তার পরেই বিবৃতি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন বলেছেন, ‘‘গণতান্ত্রিক দেশে প্রতিবাদের অধিকার সকলের আছে। কিন্তু প্রতিবাদে বাড়াবাড়ি বরদাস্ত করা যায় না, হিংসার কোনও স্থান তো নেই-ই। এই হামলায় যাদের দোষী পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা হবে।’’ ঘটনার কড়া সমালোচনা করে সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক ইয়েচুরিও বলেছেন, ‘‘কেরলের মুখ্যমন্ত্রী নিন্দা করেছেন। যারা দায়ী, তাদের বিরুদ্ধে পুলিশও ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।’’
শাসক ফন্ট এলডিএফের আহ্বায়ক ই পি জয়রাজনেরও বক্তব্য, ‘‘রাহুল গান্ধীকে ইডি দিয়ে যে ভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে, দল হিসেবে সিপিএম তার প্রতিবাদ করছে। এমতাবস্থায় সাংসদ রাহুলের দফতরে ওই মিছিলেরই কোনও প্রয়োজন ছিল না। বিস্তারিত খোঁজ নেওয়া হচ্ছে, কড়া ব্যবস্থা হবে।’’