জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে গিয়েই বিপত্তি।—ফাইল চিত্র।
মৃত ভেবে জঙ্গির দেহ উদ্ধার করতে গিয়েছিলেন। তাতে কাশ্মীরে প্রাণ গেল চার জওয়ানের। মৃত সেজে শুয়ে থাকা জঙ্গির গুলিতেই মৃত্যু হয়েছে তাঁদের। গুরুতর জখম হয়েছেন নিরাপত্তা বাহিনীর আরও ৮ জওয়ান। মৃতদের মধ্যে সিআরপি-র দুই জওয়ান, রাজ্য পুলিশের দুই কর্মী এবং এক স্থানীয় বাসিন্দা রয়েছেন।
উত্তর কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলার হান্দোয়ারার বাবাগুন্ড এলাকার ঘটনা। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি বাড়িতে দুই জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে বলে শুক্রবার খবর আসে। সেই মতো অভিযানে নামে রাজ্য পুলিশের এসওজি, সিআরপি-র ৯২ নম্বর ব্যাটেলিয়ন এবং সেনাবাহিনীর ২২ রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের যৌথ বাহিনী। হান্দোয়ারার বাবাগুন্ডে ওই বাড়ির কাছে পৌঁছলে, তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা।
গুলি বিনিময় চলাকালীন দুই জঙ্গির মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যায়। সেই মতো দেহ উদ্ধারে এগোয় নিরাপত্তা বাহিনী। তাতেই বিপত্তি বাধে। মাটিতে পড়ে থাকা দুই জঙ্গির মধ্যে একজন আচমকা উঠে দাঁড়িয়ে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করলে জখম হন জওয়ানরা। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁদের মধ্যে চার জনের মৃত্যু হয়। যৌথ বাহিনীর গুলিতে মৃত সেজে শুয়ে থাকা ওই জঙ্গিরও মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। তবে এখনও পর্যন্ত তার নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: ভারত নিয়ে অবস্থান পাল্টাচ্ছে চিন? পুলওয়ামা কাণ্ডের পর উঠছে প্রশ্ন
আরও পড়ুন: দেশে ফিরে কোন কোন পরীক্ষার সম্মুখীন হতে পারেন অভিনন্দন
পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার পর থেকে এমনিতেই তেতে রয়েছে উপত্যকার পরিস্থিতি। তার উপর এই অভিযান ঘিরে এ দিন নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সঙ্ঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাতে এক স্থানীয় বাসিন্দার মৃত্যু হয়। তাঁদের হটাতে জওয়ানরা ছররা বন্দুক ব্যবহার করলে তাতে আহত হন চার স্থানীয় যুবক।
(কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, গুজরাত থেকে মণিপুর - দেশের সব রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)