প্রতীকী ছবি।
দক্ষিণ আফ্রিকায় টিকা সরবরাহের ছাড়পত্র পেল সেরাম ইনস্টিটিউট। শনিবারই এ বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে সে দেশের ড্রাগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
জানুয়ারির শেষে কোভিশিল্ডের ১০ লক্ষ ডোজ এবং ফেব্রুয়ারিতে আরও ৫ লক্ষ ডোজ দক্ষিণ আফ্রিকায় সরবরাহের কথা রয়েছে সেরামের। সে দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেছেন, খুব শীঘ্রই টিকা তাঁদের হাতে এসে পৌঁছবে।
এ মাসের গোড়াতে কোভিশিল্ড টিকার বাণিজ্যিক সরবরাহের অনুমোদন দিয়েছে মোদী সরকার। সেই ছাড়পত্র পাওয়ার পরই ব্রাজিল এবং মরক্কোতে টিকা সরবরাহ করেছে সেরাম ইনস্টিটিউট। এ বার সেই তালিকায় নাম জুড়ল দক্ষিণ আফ্রিকার।
এই মুহূর্তে দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। তার সঙ্গে দোসর হয়েছে করোনার আরও একটি নতুন অবতার। যা রীতিমতো চোখ রাঙাতে শুরু করেছে। করোনার এই দুই অবতারকে সামলাতে তাই দ্রুত টিকাকরণ কর্মসূচির উপর জোর দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার। সে দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে, প্রথম ধাপে সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মীকে এই টিকা দেওয়া হবে। পরে ধাপে ধাপে সাধারণ মানুষকে এই কর্মসূচির আওতায় আনা হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জোয়েলি খিজে বলেন, “সামগ্রিক পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি। আমরা আশ্বাস দিচ্ছি এই পরিস্থিতি দ্রুত সামলে উঠব। গোটা দেশে টিকাকরণ কর্মসূচির সুষ্ঠু ভাবে প্রয়োগ করার চেষ্টাও চালাচ্ছি আমরা।”
দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রায় ১৪ লক্ষ মানুষ করোনায় আক্রান্ত। মৃত্যু হয়েছে ৪০ হাজারেরও বেশি।