শেষ পর্যন্ত কি বাতিল হবে ভারত-পাক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্যায়ের বৈঠক? না কী তা হবে নির্দিষ্ট সময়ে মেনেই? দুই প্রতিবেশী দেশই নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকায় বৈঠকের এক দিন আগেও বজায় রইল সাসপেন্স। জটিলতা আরও বাড়ে দিল্লিতে হুরিয়ত নেতা সাবির শাহ গ্রেফতার হওয়ায়। শনিবার দুপুরে সাংবাদিক বৈঠক করলেন পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা সরতাজ আজিজ। দাবি করলেন, এখনও আলোচনাতে রাজি পাকিস্তান। তবে সঙ্গে যোগ করলেন কাশ্মীর প্রসঙ্গও। আর কয়েক ঘণ্টা পর বিকেল ৪টে নাগাদ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হবেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। এর পরেই সম্ভবত নির্ধারিত হবে বৈঠকের ভবিষ্যত।
এনএসএ বৈঠকের জন্য এ দিনই নয়াদিল্লি আসার কথা সরতাজের। প্রস্তাবিত সূচি অনুযায়ী প্রথমেই তাঁর দেখা করার কথা বিচ্ছিন্নতাবাদী হুরিয়ত নেতাদের সঙ্গে। যে বৈঠক নিয়ে প্রথম থেকেই আপত্তি জানিয়ে এসেছে ভারত। হুরিয়তের সঙ্গে বৈঠকের পাক সিদ্ধান্তকে ‘প্ররোচনামূলক’ বলে আখ্যা দিয়েছে নয়াদিল্লি। উফায় দুই দেশের মধ্যে হওয়া চুক্তি অনুযায়ী বৈঠকে কেবল সন্ত্রাস নিয়েই আলোচনা হবে বলে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে ভারত। কিন্তু পাকিস্তান প্রথম থেকেই দাবি করে এসেছে, হুরিয়তের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক বহু দিনের। এর আগেও বহু বার তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
বৈঠকের পরিবেশ আরও জটিল করে তুলে দিল্লি রওনা হন হুরিয়ত নেতা সাবির শাহ। নয়াদিল্লির পাক দূতাবাসে সরতাজের সঙ্গে বৈঠকে বসার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তাঁকে। কিন্তু দিল্লি পৌঁছতেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। শুক্রবার সারা দিন তাঁকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছিল। সেই সাবিরই এ দিন পাক নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের জন্য দিল্লি রওনা হলেন। তাঁকে যে আটকানো হবে না তা আগেই জানিয়েছিল জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন। তাঁর দাবি, “বৈঠক নিয়ে একাধিক বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে। আমি পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ীই দিল্লি যাচ্ছি।” বৈঠক নিয়ে ভারতের কড়া অবস্থান নিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া, “ভারতের বর্তমান অবস্থান যদি ঠিক হয়, তাহলে বলতে হবে অটলবিহারী বাজপেয়ী, মনমোহন সিংহরা ভুল ছিলেন। তাঁরা কিন্তু আমাদের কোনও দিন পাকিস্তানের সঙ্গে বৈঠক করতে বাধা দেননি।”