Congress

Jan Jagran Abhiyan: জনজাগরণে গ্রামে এক রাত, দ্বিমত কংগ্রেসেই

রাহুল গাঁধী এবং প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা উত্তরপ্রদেশে রাত্রিবাস করতে পারেন বলে কংগ্রেস সূত্রের খবর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০২১ ০৬:২৪
Share:

উত্তরপ্রদেশের গ্রামে রাত্রিবাস করতে পারেন রাহুল গাঁধীও। —ফাইল চিত্র।

আগামী বছর উত্তরপ্রদেশ-সহ পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোট। তার আগে বিজেপির বিরুদ্ধে এক পক্ষকালের ‘জনজাগরণ’ অভিযান শুরু করতে চলেছে কংগ্রেস। আগামী ১৪ নভেম্বর জওহরলাল নেহরুর জন্মদিনটিকে বেছে নেওয়া হয়েছে অভিযান শুরু করার জন্য। দলের সমস্ত শীর্ষ নেতাকে ১৪ তারিখ রাতটি দেশের কোনও না কোনও গ্রামে কাটানোর প্রস্তাব দিয়েছে এআইসিসি। রাহুল গাঁধী এবং প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা উত্তরপ্রদেশে রাত্রিবাস করতে পারেন বলে কংগ্রেস সূত্রের খবর।

গত ৪ তারিখ দলের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কে সি বেণুগোপাল এই অভিযান এবং দেশজোড়া আন্দোলন সংক্রান্ত পরিকল্পনা এবং প্রস্তাবগুচ্ছ দলের নেতাদের কাছে পাঠান। কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য, এআইসিসি-র সমস্ত সাধারণ সম্পাদক এবং প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি বিধায়কদের কাছেও সেই নির্দেশিকা তথা প্রস্তাব পাঠানো হয়। সেখানে বলা হয়, “পণ্ডিত নেহরুর জন্মদিনে পদযাত্রা শুরু করে শীর্ষ নেতারা যে রাজ্যেই হোক একটি গ্রামে রাত্রিবাস করুন। গ্রামের মানুষের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করুন। তাঁদের মোদীর ‘অপশাসন’ এবং ‘ভ্রান্ত অর্থনীতি’ সম্পর্কে সজাগ করুন। বিশেষ বিশেষ রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত দলের সাধারণ সম্পাদকদের সংশ্লিষ্ট রাজ্যেরই কোনও গ্রামে রাতে থাকতে বলা হয়। প্রাথমিক ভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের বেহাল অর্থনীতির কথা প্রচারই লক্ষ্য কংগ্রেসের।

Advertisement

কংগ্রেস সূত্রের খবর, গ্রামে রাত কাটানোর বিষয়টি নিয়ে কংগ্রেসের অভ্যন্তরেই ‘নানা মুনি নানা মত’। একটি অংশ বলছে, বিষয়টি নিছক চিত্তাকর্ষক বনভোজনের মতো! এতে কাজের কাজ বিশেষ হওয়ার নয়। অনেকেই অবশ্য গ্রামে রাত কাটনোর বিষয়টকে লঘু করে দেখাকে ‘এলিট-তন্ত্র’ বলে উড়িয়ে দিচ্ছেন। তাঁদের বক্তব্য, এই ‘এলিট-তন্ত্র’-এর কারণেই কংগ্রেস আঞ্চলিক আবেগ থেকে ক্রমশ বিচ্ছিন্ন হয়ে নয়াদিল্লির ড্রয়িংরুমের দল হয়ে গিয়েছে। প্রয়োজনে একটি রাত নয়, রাতের পর রাত গ্রামে কাটানো উচিত কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের।

সম্প্রতি কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের পর দলের মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা এবং সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল জানিয়েছিলেন, মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক জনমত গড়ে তুলতে একাধিক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে৷ তিনটি প্রস্তাবকে সামনে রেখে সরকার বিরোধী প্রচারে ঝাঁপাবে কংগ্রেস৷ যার প্রথমেই আছে, কৃষি আইনের প্রতিবাদে কৃষকদের আন্দোলনকে সমর্থন৷ গত বছর থেকে শুরু হওয়া কৃষক আন্দোলনকে প্রথম থেকেই সমর্থন জানিয়েছে কংগ্রেস৷ রাহুল বারবার বলেছেন, কৃষক-স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে এই আইন দেশের কয়েক জন কর্পোরেটদের সুবিধা করে দেবে৷ তাই কৃষকদের পাশে আছে কংগ্রেস৷ সাংবাদিক বৈঠকে বেণুগোপাল বলেছিলেন, “কৃষকদের আন্দোলনের প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থন আছে৷ এ ছাড়া লখিমপুর খেরিতে যা ঘটেছে, আমরা মনে করি সেটা কৃষকদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা ছাড়া কিছু নয়৷”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement