প্রতীকী ছবি।
পঞ্জাবের গুরদাসপুরে সোমবার পাকিস্তানের একটি ড্রোনকে গুলি করে নামাল নিরাপত্তাবাহিনী। সেই ড্রোন থেকে ১১টি উন্নতমানের হ্যান্ড গ্রেনেড উদ্ধার হয়েছে বলে পঞ্জাব পুলিশ সূত্রে খবর। গ্রেনেডের ধরন দেখে সন্দেহ করা হচ্ছে, সেগুলো পাকিস্তানের অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরিতে তৈরি হয়েছে।
পঞ্জাব পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন, একটি প্লাস্টিক ব্যাগের মধ্যে উদ্ধার হয়েছে ‘আর্জেস টাইপ এইচজি-৮৪’ সিরিজের গ্রেনেডগুলো। তিনি আরও জানান, গত ১৫ মাস ধরে সীমান্ত এলাকায় অস্ত্র এবং মাদক পাচারের রমরমা বেড়েছে। তাঁর দাবি, পাকিস্তান থেকে ড্রোনের মাধ্যমে এই পাচারকাজ চালাচ্ছে জঙ্গিরা। এ দেশের জঙ্গিদের অস্ত্র এবং মাদক পৌঁছে দিতে এখন এটাই জঙ্গিদের নয়া ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সপ্তাহখানেক আগেই গোয়েন্দারা সতর্ক করেছিলেন, পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই চিনের কাছ থেকে উন্নতমানের ড্রোন কিনছে। যেগুলো বিপুল পরিমাণে অস্ত্র বহন করতে সক্ষম। সেই সতর্কবার্তার পরই সোমবার এতগুলো উন্নত ধরনের গ্রেনেড মেলায় সীমান্ত জুড়ে নজরদারি আরও কঠোর করা হয়েছে।
কয়েক দিন আগেই পঞ্জাব থেকেই দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতেরা ড্রোনের মাধ্যমে পাকিস্তানে অস্ত্র ও মাদক পাচার করত বলে দাবি পুলিশের। ধৃতদের সঙ্গে খালিস্তানি জঙ্গিদের যোগও রয়েছে দাবি করেছে পুলিশ। এই ঘটনার পর পরই সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়ায় বিএসএফ।
ড্রোনের মাধ্যমে অস্ত্র পাচারের বিষয়টি প্রথম নজরে আসে ২০১৯-এর ১৯ অগস্ট। একে ৪৭, এমপি ৯ রাইফেল, পিস্তল এবং জাল ভারতীয় টাকা-সহ একটি কোয়াডকপ্টার সীমান্ত পেরিয়ে এ দেশে ঢোকে সেদিন। ব্যাটারির চার্জ কমে যাওয়ায় সেটি বিকল হয়ে যায়। এক পুলিশ আধিকারিক জানাচ্ছেন, বর্তমানে যে সব ড্রোন ব্যবহার করছে জঙ্গিরা, সেগুলো আকারে বড় এবং প্রচুর অস্ত্র এবং বিস্ফোরক বহনে সক্ষম। যা খুবই উদ্বেগের বিষয়।