উত্তর-পূর্বের স্কুলগুলিতেও দশম শ্রেণি পর্যন্ত হিন্দি বাধ্যতামূলক করার কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ঘোষণার বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছে উত্তর-পূর্বের বিভিন্ন দল-সংগঠন।
উত্তর-পূর্ব ছাত্র সংগঠন নেসোর চেয়ারপার্সন স্যামুয়েল বি জিরওয়া বলেন, “আমরা এই পদক্ষেপের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। হিন্দি ঐচ্ছিক বিষয়। তাকে বাধ্যতামূলক করা চলবে না। ছাত্র সংগঠন উত্তর-পূর্বের সব সরকারের কাছে হিন্দি বাধ্যতামূলক না করার দাবি জানাবে।”
সংসদীয় সরকারি ভাষা কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে শাহ বলেছিলেন, ‘‘উত্তর-পূর্বের ৮টি রাজ্যে মোট ২২ হাজার হিন্দি শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে এবং সব রাজ্যই দশম শ্রেণি পর্যন্ত হিন্দি বাধ্যতামূলক করতে রাজি হয়েছে। উত্তর-পূর্বের ৯টি জনজাতি তাদের ভাষা লেখার ক্ষেত্রে দেবনাগরী হরফ গ্রহণ করেছে।’’মেঘালয়ের কংগ্রেস বিধায়ক আমপারিন লিংডো বলেন, “ভাষা চাপানোর কেন্দ্রীয় ফতোয়া মানা হবে না। রাজ্যের হাতে এই নির্দেশ রোখার অনেক উপায় রয়েছে। মেঘালয় ষষ্ঠ তফসিলভুক্ত রাজ্য। সেখানে কেন্দ্র কিছু চাপাতে পারে না। মেঘালয়ে হিন্দি বাধ্যতামূলক হলে খাসি ও গারো ভাষা স্কুলে ঠাঁই পাবে না। তাই আমাদের মাতৃভাষা আরও সঙ্কটে পড়বে।” অসমে কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতিও জানায়, শাহের ঘোষণা অগণতান্ত্রিক, অসাংবিধানিক ও সাধারণতন্ত্র বিরোধী।