প্রকাশ্যে এল পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠনের মদতপুষ্ট পাচারচক্র। প্রতীকী ছবি।
মাদক-সহ এক স্কুলছাত্রীকে গ্রেফতার করলেন জম্মু ও কাশ্মীরে কর্তব্যরত নিরাপত্তারক্ষীরা। সেই সঙ্গে প্রকাশ্যে এল পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠনের মদতপুষ্ট পাচারচক্রের কথাও।
ধৃত ছাত্রী জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলায় লাইন অফ কন্ট্রোল (এলওসি) ঘেঁষা একটি গ্রামের বাসিন্দা। সে দশম শ্রেণির ছাত্রী। তাঁর কাছ থেকে ৪০০ গ্রাম নিষিদ্ধ মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। গত বুধবার জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ এবং বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)-এর যৌথ উদ্যোগে ওই ছাত্রীকে গ্রেফতার করে পাচারচক্রের হদিস পাওয়া গিয়েছে।
আপাতত পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে ধৃত ছাত্রীকে। পুলিশ গোপন সূত্রের মাধ্যমে জানতে পেরেছে, ওই ছাত্রীর কাছে আরও খানিকটা মাদক রয়েছে। সেগুলি সে তার বাড়ির কাছের একটি গর্তে লুকিয়ে রেখেছে। এ বিষয়ে ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
বিএসএফ এবং কাশ্মীর পুলিশের দাবি, পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন আইএসআই-এর মদতে এলওসি সংলগ্ন এলাকায় মাদক পাচারচক্র চালানো হচ্ছিল। পাকিস্তানি এক যুবকের সন্ধানও পাওয়া গিয়েছে। যিনি নিয়মিত ওই ছাত্রীর বাড়িতে আসতেন, তাকে মাদকের জোগান দিতেন।
অভিযোগ, স্কুল এবং অন্যান্য বন্ধুবান্ধবের কাছে মাদক পাচার করত ওই ছাত্রী। তার কাছ থেকে মাদক কিনে নিত সমবয়সি কিংবা তার থেকে বয়সে বড় যুবক-যুবতীরা।
কাশ্মীরের এলওসি সংলগ্ন এলাকায় প্রায়ই অভিযোগ ওঠে, কাঁটাতারের ও পার থেকে পাকিস্তানিরা এসে এ পারে মাদক পাচার করে থাকেন। পড়শি দেশের জঙ্গি সংগঠনগুলির লক্ষ্যই হল ভারতের যুবসমাজে নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করা, দাবি বিএসএফ এবং কাশ্মীর পুলিশের।