অযোধ্যার রামমন্দির। —নিজস্ব চিত্র।
মাহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষা। কিছু ক্ষণের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এসে পৌঁছবেন মন্দিরে। ইতিমধ্য়েই তিনি অযোধ্যায় পৌঁছে গিয়েছেন। তার আগে একে একে বিভিন্ন ক্ষেত্রের তারকারা পৌঁছে গিয়েছেন মন্দির চত্বরে। একেবারে সামনের সারিতে সোফা পাতা। সেখানেই একে একে এসে বসছেন অমিতাভ বচ্চন, কঙ্গনা রানাউতরা। এসে গিয়েছেন সচিন তেন্ডুলকর। কাছেই বসেছেন পিটি উষা। একটু দূরেই রণবীর-আলিয়া। তার একটু পিছন দিকে অন্যান্য অতিথির চেয়ারে বসার ব্যবস্থা। সামনের সারিতে বিদেশি অতিথিদের বসার ব্যবস্থা। অনেকেই এসে গিয়েছেন। এখনও ঢুকছেন। তবে যা নির্দেশ রয়েছে, তাতে বেলা ১১টার পরে যাঁরা আসবেন, তাঁদের পিছনের দিকে বসতে হতে পারে।
মূল প্রবেশপথ দিয়েই ঢুকতে হচ্ছে অতিথিদের। সেখানে দফায় দফায় নিরাপত্তাকর্মীদের পরীক্ষার পরে জায়গা হচ্ছে বসার। কে কোন আসনে বসবেন, তার পুরোটাই ‘কিউআর কোড’ অনুসারে ঠিক করা হয়েছে। তবে ভিআইপিদের ঢোকার জন্য আলাদা ৮ নম্বর গেট রয়েছে। ভিভিআইপিদের ঢোকার জন্য রয়েছে ৮এ গেট। সাধুসন্তেরা ঢুকছেন সুগ্রীব টোলার পাশের গেট দিয়ে। এমন ভাবে বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে, যাতে সকলেই মূল অনুষ্ঠান দেখতে পান। মোদী, যোগী আদিত্যনাথ এবং সঙ্ঘপ্রধান মোহন ভাগবত ঢুকবেন ‘ভক্তিপথ’ দিয়ে। সেই পথে আরও আঁটসাঁট নিরাপত্তা।
আগে থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে মঙ্গলাচরণ। তবে স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়েছে, অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গেলে কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। যদিও প্রধানমন্ত্রী আসার আগে খ্যাতনামীদের সঙ্গে নিজস্বী তোলা শুরু হয়ে গিয়েছে। মন্দির প্রাঙ্গণের নিরাপত্তাকর্মীরা বাধা দিলেও খুব একটা শোনা হচ্ছে না সেই নিষেধাজ্ঞা।
সকলে মাঝেমাঝেই আকাশের দিকে তাকাচ্ছেন। কারণ, ঘোষণা অনুযায়ী হেলিকপ্টার থেকে পুষ্পবৃষ্টির পরিকল্পনা রয়েছে। দীর্ঘ সময় থাকতে হবে সকলকে। কোনও খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা নেই। খোলা আকাশের নীচেই বসার ব্যবস্থা। সকলকে ঢোকার সময় এক বোতল জল দেওয়া হয়েছে। বসার আসন থেকে দেখা যাচ্ছে পূজার্চনার প্রক্রিয়া চলছে। অপেক্ষা শুধু সেই মুহূর্তের, যখন নতুন মূর্তির মুখের আবরণ সরে যাবে। প্রাণপ্রতিষ্ঠা হবে মূর্তির। শহরের যে পথ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী আসবেন, সেই ‘ধর্মপথ’-এর দু’দিকে বিভিন্ন রাজ্যের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন রয়েছে। সেই পথে সাধারণ মানুষ বা ভক্তদের যাতায়াত নিষেধ।