সমকামী বা উভকামী নন। তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে সরকারি সংরক্ষণের আওতায় আসবেন শুধু বৃহন্নলারাই। আজ এই রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
২০১৪ সালের ১৫ এপ্রিল, এক ঐতিহাসিক রায়ে বৃহন্নলাদের তৃতীয় লিঙ্গের মর্যাদা দেয় এ দেশের শীর্ষ আদালত। সামাজিক ও শিক্ষাগত দিক থেকে পিছিয়ে পড়া শ্রেণি হিসেবে চিহ্নিত করে তাঁদের জন্য সরকারি ক্ষেত্রে সংরক্ষণ চালু করার জন্য কেন্দ্র ও রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়। ভয়, লজ্জা, সামাজিক চাপ ও অবসাদ কাটিয়ে তাঁরা যাতে মূল স্রোতে ফিরতে পারেন, তার জন্য যাবতীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়া হয় কেন্দ্র ও রাজ্যকে।
আদালতের এই নির্দেশ নিয়ে তখনই নানা প্রশ্ন উঠেছিল। আদালতের রায়ে ‘বৃহন্নলা’র সঙ্গে ‘রূপান্তরকামী’ শব্দটিও ব্যবহার করা হয়েছিল। ওই বছর সেপ্টেম্বরে কেন্দ্র জানতে চায়, ‘রূপান্তরকামী’ বলতে শীর্ষ আদালত কাদের নির্দেশ করছে? কারণ, রূপান্তরকামীদের মধ্যে যেমন বৃহন্নলারা আছেন, তেমনই রয়েছেন অনেক সমকামী ও উভকামী। ফলে সমকামী বা উভকামীরা আদালতের এই নির্দেশের আওতাভুক্ত হবেন কি না, তা নিয়ে ধন্দ দেখা দিচ্ছে।
গত দু’বছর ধরে এক দিকে বৃহন্নলারা সমানে ক্ষোভ জানিয়ে আসছেন যে, শীর্ষ আদালত সংরক্ষণের রায় দিলেও এত দিনে তা কার্যকর হল না। অন্য দিকে, কেন্দ্র যুক্তি দিয়ে এসেছে, শীর্ষ আদালত যতক্ষণে স্পষ্ট ব্যাখ্যা না দিচ্ছে, রায় মোতাবেক পদক্ষেপ করা যাবে না।
কেন্দ্রের আবেদনের প্রেক্ষিতেই আজ আদালত জানিয়ে দিল, সমকামী ও উভকামীদের সংরক্ষণের কোনও প্রশ্ন উঠছে না। সংরক্ষণের আওতায় আসবেন শুধু বৃহন্নলারাই। বিচারপতি এ কে সিকরি এবং এন ভি রামনের বেঞ্চের জবাব, ২০১৪-র রায়ে সংশয় বা ধন্দের কোনও জায়গাই ছিল না। বলা হয়েছিল, শুধু বৃহন্নলারাই ওবিসি-র মতো সংরক্ষণের অধিকারী।