কোহিনুর ফিরিয়ে আনতে কোনও নির্দেশ দেওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব নয় বলে জানাল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি জে এস খেহরের বেঞ্চ আজ বলেছে, বিদেশে থাকা কোনও সামগ্রীর বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ জারি করতে পারে না। কোনও সামগ্রী (এ ক্ষেত্রে কোহিনুর) নিলাম হলে তা বন্ধ রাখার জন্য অন্য দেশের সরকারকে নির্দেশ দেওয়াও সম্ভব নয়। তবে কূটনৈতিক দৌত্যের মাধ্যমে কোহিনুর ফেরানোর চেষ্টা হচ্ছে বলে আদালতকে যে মোদী সরকার জানিয়েছে, সে বিষয়টি উল্লেখ করেছেন প্রধান বিচারপতি।
কোহিনুর ফেরানোর আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল হিউম্যান রাইটস সোশ্যাল জাস্টিস ফ্রন্ট নামে একটি সংগঠন। এর পর তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ের উদ্যোগে কলকাতার সংগঠন হেরিটেজ বেঙ্গলও জনস্বার্থ মামলা করে। আদালতে প্রথমে সংস্কৃতি মন্ত্রক জানিয়েছিল, কোহিনুর ফেরত আনার চেষ্টা করা ঠিক নয়। কারণ, ওই হিরে চুরি করে ব্রিটেনে নিয়ে যাওয়া হয়নি। কেউ তা ছিনিয়েও নেয়নি। ব্রিটিশদের এটি উপহার দেওয়া হয়েছিল।
সুখেন্দুবাবুরা নথি দিয়ে আদালতে দেখিয়েছিলেন, কাকতীয় সাম্রাজ্য, খিলজি শাসকদের হাত ঘুরে মোগলদের হাতে আসার পর শাহজাহানের ময়ূর-সিংহাসনে কোহিনুর শোভা পেত। নাদির শাহ তা দিল্লি থেকে লুঠ করেন। পরে তা আফগানিস্তানের আমিরদের হাত ঘুরে পঞ্জাবের মহারাজা রঞ্জিৎ সিংহের হাতে আসে। দ্বিতীয় ব্রিটিশ-শিখ যুদ্ধে ব্রিটিশরা শিখ সাম্রাজ্য দখল করে। তার জন্য লর্ড ডালহৌসি লাহৌরের শেষ চুক্তি তৈরি করেন। তখনই কোহিনুর-সহ মহারাজার যাবতীয় সম্পত্তি রানি ভিক্টোরিয়াকে সমর্পণের কথা বলা হয়েছিল। আজ সুখেন্দুশেখর বলেন, ‘‘কেন্দ্র নিজেদের অবস্থান বদলেছে। কূটনৈতিক দৌত্যের মাধ্যমে কোহিনুর ফেরানোর চেষ্টা হবে বলে জানানো হয়েছে।’’