শিক্ষক নিয়োগ খারিজ করার যে রায় ত্রিপুরা হাইকোর্ট দিয়েছিল তা বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আদর্শ কুমার গোয়েল ও বিচারপতি উদয় উমেশ ললিতের ডিভিশন বেঞ্চও মনে করে ত্রিপুরা সরকার শুধুমাত্র ‘ইন্টারভিউ’-এর মাধ্যমে যে ১০ হাজার ৩২৩ জন শিক্ষক নিয়োগ করেছিল তা নিয়ম মেনে হয়নি।
সুপ্রিম কোর্ট আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ওই শিক্ষকদের নিয়োগ বহাল রেখে বলেছে, এই সময়ের মধ্যে রাজ্য সরকারকে স্বচ্ছ নিয়োগ নীতি প্রণয়ন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। রাজ্যের আইন সচিব দাতামোহন জামাতিয়া দিল্লি থেকে ফোনে জানান, ‘‘শীর্ষ আদালতের আজকের আদেশ অনুযায়ী, ওই নয়া নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ছাঁটাই হওয়া শিক্ষকরাও অংশ নিতে পারবেন। ত্রিপুরার শিক্ষামন্ত্রী তপন চক্রবর্তী শীর্ষ আদালতের এই রায়কে ‘অনাকাঙ্খিত’ বলে মন্তব্য করেছেন| এর বেশি কিছু তিনি বলতে চাননি |
ত্রিপুরা সরকার প্রয়োজন ভিত্তিক, সিনিয়রিটি ও যোগ্যতা নীতির নিরিখে ২০১০ সালে শুধুমাত্র ‘ইন্টারভিউ’-এর ভিত্তিতে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে ১০ হাজার ৩২৩ জনকে সরকারী স্কুলে শিক্ষক পদে নিয়োগ করে| নির্বাচিত প্রার্থীরা বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষকতার কাজে যোগ দেন। এই নিয়োগ প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ করে ত্রিপুরা হাইকোর্টে মামলা করেন কয়েক জন বঞ্চিত প্রার্থী| সেই মামলার রায়ে ২০১৪ সালে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি দীপক গুপ্ত ও বিচারপতি এস সি দাশকে নিয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এই নিয়োগকে অবৈধ আখ্যা দিয়ে নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ দেয়। তবে, নতুন নিয়োগ নীতি প্রণয়ন না হওয়া পর্যন্ত ওই নিযুক্তদের ওই বছরের (২০১৪) ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কাজে বহাল রাখার নির্দেশ দেয়।
হাইকোর্টের এই রায়কেই চ্যালেঞ্জ করে ত্রিপুরা সরকার সুপ্রিম কোর্টে যায়। ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে শীর্ষ আদালতের এই রায় সরকারের যথেষ্ট অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করছেন রাজ্যের তথ্যাভিজ্ঞ মহল।