Eknath Shinde

শিন্ডে-সহ ১৬ বিধায়কের পদ খারিজের সিদ্ধান্ত নিতে দেরি কেন? স্পিকারকে নোটিস সুপ্রিম কোর্টের

শিন্ডে-সহ ১৬ শিবসেনা বিধায়ককে ‘অবস্থান’ স্পষ্ট করতে গত বছরের জুন মাসে নির্দেশ দিয়েছিলেন তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত স্পিকার (তথা ডেপুটি স্পিকার) নরহরি সীতারাম জিরওয়াল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০২৩ ১৪:৪৩
Share:

একনাথ শিন্ডেদের নিয়ে মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকারকে নোটিস দিল সুপ্রিম কোর্ট। ফাইল চিত্র।

মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে-সহ ১৬ জন ‘বিদ্রোহী’ শিবসেনা বিধায়কের পদ খারিজের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানতে চেয়ে মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকার রাহুল নরবেকরকে নোটিস পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট। মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা শিবসেনা (বালাসাহেব) নেতা উদ্ধব ঠাকরের শিবিরের বিধায়ক সুনীল প্রভু স্পিকারের বিরুদ্ধে ‘ইচ্ছাকৃত বিলম্বের’ অভিযোগ এনে শীর্ষ আদালতে যে আবেদন করেছিলেন, তারই প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে স্পিকারের জবাব চেয়েছে।

Advertisement

শিবসেনার বিধায়কদের ভেঙে শিন্ডে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন ২০২২ সালের জুন মাসে। বিজেপির সাহায্য নিয়ে ক্ষমতাচ্যুত করেছিলেন উদ্ধবকে। সে দিন শিন্ডে এবং তাঁর সঙ্গে প্রথম দফায় ‘বিদ্রোহী’ ১৫ জন শিবসেনা বিধায়কদের সেই পদক্ষেপ ‘দলত্যাগ বিরোধী কার্যকলাপ’ ছিল কি না, গত ১১ মে সুপ্রিম কোর্ট তা বিবেচনার ভার দিয়েছিল মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকারকে। উদ্ধব শিবিরের অভিযোগ, সেই সিদ্ধান্ত নিতে ‘ইচ্ছাকৃত’ ভাবে দেরি করছেন স্পিকার।

প্রসঙ্গত, শিন্ডে-সহ ১৬ শিবসেনা বিধায়ককে ‘অবস্থান’ স্পষ্ট করতে গত বছরের জুন মাসে নির্দেশ দিয়েছিলেন তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত স্পিকার (তথা ডেপুটি স্পিকার) নরহরি সীতারাম জিরওয়াল। কিন্তু সে সময় কিন্তু শিন্ডে শিবির জানিয়েছিল, ডেপুটি স্পিকারকে সরানোর জন্য আগেই বিধানসভায় প্রস্তাব পেশ করেছেন তাঁরা। তাই তাঁর কৈফিয়ত চাওয়ার অধিকার নেই। এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়কেই হাতিয়ার করেছিল শিন্ডেসেনা।

Advertisement

২০১৬ সালে অরুণাচল প্রদেশে ক্ষমতার পালাবদল নিয়ে ‘নাবাম রেবিয়া বনাম ডেপুটি স্পিকার’ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি জেএস খেহর এবং বিচারপতি দীপক মিশ্রর রায় ছিল, ‘‘স্পিকারকে পদচ্যুত করার জন্য প্রস্তাব জমা পড়লে, দলত্যাগী বিধায়কেরা দলত্যাগ বিরোধী আইনের আওতায় পড়বেন কি না, তা নিয়ে তিনি পদক্ষেপ করতে পারবেন না।” সেই যুক্তি মেনেই শিন্ডেসেনাকে ‘প্রাথমিক ছাড়’ দিয়েছিল আদালত।

এর পরে গত ১১ মে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চ জানায়, শিন্ডে-সহ ১৬ বিধায়কের পদ বহাল থাকবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন স্পিকার। অবশ্য তার আগেই সংখ্যাগরিষ্ঠ বিধায়কের সমর্থন নিয়ে এনসিপি বিধায়ক জিরওয়ালকে সরিয়ে স্পিকার হন বিজেপির নরভেকর। উদ্ধব গোষ্ঠীর বিধায়ক সুনীল প্রভুকে সরিয়ে শিবসেনার চিফ হুইপ শিন্ডেসেনার অনিল পরবের নিয়োগে স্বীকৃতি দেন তিনি। কিন্তু এখনও শিন্ডে-সহ ১৬ বিদ্রোহীর পদ খারিজ নিয়ে স্পিকার গড়িমসি করছেন বলে অভিযোগ।

প্রসঙ্গত, ১১ মে-র ওই রায়ে শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, শিন্ডেদের বিদ্রোহের পরেই উদ্ধবকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের নির্দেশ দিয়ে রাজ্যপালে ভগৎ সিংহ কোশিয়ারি সঠিক কাজ করেননি। এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন তুলে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেছিলেন, “ধরা যাক কোনও বিষয়ে একটি দলের অন্দরে মতবিরোধ হল। তখন কি সেই দলের নেতাকে (এ ক্ষেত্রে উদ্ধব) আস্থাভোট নেওয়ার কথা বলবেন রাজ্যপাল?”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement