Hathras Stampede Incident

অনুমতি ছিল ৮০ হাজারের, হাথরসের ‘সৎসঙ্গে’ ভিড় করেছিলেন আড়াই লক্ষ! কাঠগড়ায় আয়োজকেরা

প্রত্যক্ষদর্শী অনেকের কথায়, ‘সৎসঙ্গ’ শেষে ভোলে বাবা ধুলো উড়িয়ে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যান। সেই ধুলো সংগ্রহ করতেই হুড়োহুড়ি পড়ে যায় ভক্তদের মধ্যে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৪ ১৪:৪১
Share:

হাসরসের পদপিষ্টের ঘটনা। — ফাইল চিত্র।

৮০ হাজার মানুষের জমায়েতের অনুমতি নিয়েছিলেন হাথরসের ওই ‘সৎসঙ্গের’ আয়োজকেরা। পুলিশের দায়ের হওয়া এফআইআরে তেমনই উল্লেখ রয়েছে। তবে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের দাবি, ৮০ হাজার নয়, আরও অনেক বেশি ভক্ত এসেছিলেন মঙ্গলবারের ‘সৎসঙ্গে’। সংখ্যাটা আড়াই লক্ষের বেশি। অতিরিক্ত ভিড়ই কি হাথরস দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ, সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারী অফিসারেরা। সৎসঙ্গে কী কী ঘটেছিল, তা-ও জানতে চান তাঁরা।

Advertisement

মঙ্গলবার হাথরসে একটি ‘সৎসঙ্গে’র আয়োজন হয়েছিল। সুরজ পাল ওরফে নারায়ণ সাকার হরি ওরফে সাকার বিশ্ব হরির ডাকে সেই সৎসঙ্গে উপচে পড়েছিল ভিড়। ভক্তদের কাছে তিনি ভোলে বাবা নামেও পরিচিত। প্রত্যক্ষদর্শী অনেকের কথায়, ‘সৎসঙ্গ’ শেষে ভোলে বাবা ধুলো উড়িয়ে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যান। সেই ধুলো সংগ্রহ করতেই হুড়োহুড়ি পড়ে যায় ভক্তদের মধ্যে। আর তা করতে গিয়েই বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। নারী, শিশু-সহ বহু মানুষ পদদলিত হন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকের কথায়, অনুষ্ঠান শেষে ভোলে বাবার কাছে যাওয়ার জন্য ভক্তেরা ‘মারামারি’ শুরু করে দেন। কে আগে তাঁর কাছে পৌঁছবেন, তা নিয়ে হুড়োহুড়ি চলে। কিন্তু ভোলে বাবার সহযোগীরা লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে যান। সরিয়ে দেন ভিড়। যার ফলে বিশৃঙ্খলা আরও বাড়ে। অনেকেই এই দুর্ঘটনার জন্য পুলিশের ভূমিকাকে দায়ী করেছেন। তাঁদের মতে, এত বড় সমাবেশের নিরাপত্তায় ছিলেন মাত্র ৪০ জন পুলিশকর্মী। ভিড় সামাল দিতে ব্যর্থ তাঁরা।

Advertisement

হাথরসের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১২১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও অনেকে। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এই ঘটনার তদন্তের জন্য মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নির্দেশের উত্তরপ্রদেশ পুলিশ একটি বিশেষ কমিটি তৈরি করেছে। দায়ের হয়েছে এফআইআরও। সেই এফআইআরে নাম রয়েছে ভোলে বাবার সহযোগী তথা সৎসঙ্গের প্রধান সংগঠক দেবপ্রকাশ মধুকর এবং আরও কয়েক জনের। এফআইআরে বলা হয়েছে, ওই অনুষ্ঠানে কত লোকের সমাগম হতে পারে বলে আয়োজকেরা আশা করেছিলেন, তা গোপন করা হয়েছিল। এমনকি, ট্র্যাফিক ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে যে শর্তগুলি আরোপ করা হয়েছিল, তা মানেননি আয়োজকেরা। পাশাপাশি তাঁরা দুর্ঘটনার প্রমাণ লোপাট করার চেষ্টাও করেন।

অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। সেখানে হত্যার মতো ধারাও যুক্ত করেছে পুলিশ। আদিত্যনাথের বুধবার হাথরসে যাওয়ার কথা। এ দিকে, বুধবার সকালেই ঘটনাস্থলে যান তদন্তকারী কমিটির সদস্যেরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement