সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব। —ফাইল চিত্র।
মহারাষ্ট্রে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে আসনরফা নিয়ে মতবিরোধ দেখা দিল বিরোধী জোট ‘মহাবিকাশ আঘাড়ী’ (এমভিএ) এবং সমাজবাদী পার্টির (এসপি) মধ্যে। মহারাষ্ট্রের এসপি-র রাজ্য সভাপতি আবু আজ়মি জানান, বিধানসভায় ‘মহাবিকাশ আঘাড়ী’র কাছে পাঁচ আসন দাবি করেছিলেন। কিন্তু তা নিয়ে টালবাহানা চলছে। তাই এসপি ঠিক করেছে মহারাষ্ট্রে তারা একাই লড়বে!
সম্প্রতি শিবসেনা (ইউবিটি) ধুলে বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য প্রার্থী ঘোষণা করেছে। যা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে রাজ্য এসপি। কারণ, তারা যে পাঁচটি আসনের দাবি করেছিল, তার মধ্যেই ছিল ধুলে। আজ়মি জানান, কোনও আলোচনা ছাড়াই প্রার্থী ঘোষণা করছে ‘মহাবিকাশ আঘাড়ী’। তা-ই তাঁরাও ‘একলা চলো’র ডাক দিতে পারেন। এমনকি, ২০টি আসনে প্রার্থী দিতে পারে এসপি।
আজ়মি আরও বলেন, ‘‘যদি নির্বাচনী এলাকায় ধর্মনিরপেক্ষ ভোট ভাগাভাগি হয়, তবে তার জন্য দায়ী থাকবে এমভিএ।’’ ইতিমধ্যেই এসপি তাদের প্রস্তাবিত পাঁচ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। আগামী মঙ্গলবার তাঁরা মনোনয়ন জমা দেবেন। তবে আগামী দিনে সমাজবাদী পার্টি যে সেই আসন সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করতে পারে, তার ইঙ্গিতও দিয়ে রাখলেন আজ়মি।
মহারাষ্ট্র বিধানসভায় এসপি আলাদা ভাবে লড়াই করার ডাক দিলেও বিজেপি-বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র অন্য শরিক আম আদমি পার্টি (আপ) পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে। আপ নেতা সঞ্জয় সিংহ জানিয়েছেন, মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী দেবেন না তাঁরা। কিন্তু বিরোধী জোট ‘মহাবিকাশ আঘাড়ী’র সমর্থনে প্রচার করবেন আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়াল। মহারাষ্ট্রে বিরোধী জোট ‘মহাবিকাশ আঘাড়ী’র তিন শরিক কংগ্রেস, উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা (ইউবিটি) এবং শরদ পওয়ারের এনসিপি (এসপি)। এই তিন দলের হয়েই প্রচার করবেন কেজরীওয়াল। মহারাষ্ট্রে ২৮৮ আসনে ভোটগ্রহণ হবে এক দিনেই। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ২০ নভেম্বর হবে মরাঠাভূমে ভোটগ্রহণ। তবে ঝাড়খণ্ডে ভোটগ্রহণ হবে দু’দফায়। ১৩ এবং ২০ নভেম্বর।