Sachin Pilot

কোর্টে সাময়িক স্বস্তি সচিনদের

সচিনদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত পরিষদীয় দলের বৈঠক ডাকলেও তাঁরা যোগ দেননি। দু’বার দলের হুইপ অমান্য করেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২২ জুলাই ২০২০ ০৬:০৭
Share:

ফাইল চিত্র

শুক্রবার পর্যন্ত স্বস্তি পেলেন সচিন পাইলট ও তাঁর অনুগামী কংগ্রেসের বিধায়কেরা।

Advertisement

রাজস্থানে কংগ্রেসের অন্দরে বিদ্রোহের পরে সচিন ও তাঁর অনুগামী মিলিয়ে মোট ১৯ জন বিধায়কের সদস্যপদ খারিজের দাবি জানিয়েছিল কংগ্রেস। বিধানসভার স্পিকার সি পি জোশীর নোটিসের বিরুদ্ধে সচিনরা রাজস্থান হাইকোর্টে মামলা করেন। সেই মামলার শুনানির শেষে আজ কোর্ট জানিয়েছে, শুক্রবার রায় ঘোষণা হবে। কিন্তু তত দিন বিধানসভার স্পিকার বিধায়কদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারবেন না।

সচিনদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত পরিষদীয় দলের বৈঠক ডাকলেও তাঁরা যোগ দেননি। দু’বার দলের হুইপ অমান্য করেছেন। কিন্তু সচিনের আইনজীবী হরিশ সালভে ও মুকুল রোহতগি আদালতে যুক্তি দেন, বিধানসভা অধিবেশনের বাইরে হুইপ জারি করা যায় না। দলের বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করা হুইপ অমান্য করা নয়।

Advertisement

কংগ্রেসের অঙ্ক ছিল, সচিনদের বিদ্রোহের সুযোগ নিয়ে বিজেপি গহলৌত সরকার ফেলার চেষ্টা করলেও বিদ্রোহী বিধায়কদের সদস্যপদ খারিজ হয়ে গেলে সে চেষ্টা সফল হবে না। ২০০ আসনের রাজস্থান বিধানসভায় ১৯ জনের বিধায়ক পদ চলে গেলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য ১০১ জনের বদলে ৯২ জনের সমর্থন হলেই চলবে। গহলৌতের পরিকল্পনা ছিল, যত দ্রুত সম্ভব বিধানসভার অধিবেশন ডেকে আস্থা ভোটে যাওয়া। কিন্তু হাইকোর্টের রায় পিছিয়ে যাওয়ায় তাঁকেও আদালতের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

সচিনের অনুগামী বিধায়কদের যেমন হরিয়ানা ও দিল্লির হোটেলে রাখা হয়েছে, তেমনই গহলৌত শিবিরের বিধায়করা রয়েছেন জয়পুরের ফেয়ারমন্ট হোটেলে। সেখানে কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের বৈঠকে গহলৌত বলেন, ‘‘কংগ্রেস বা বিজেপি কেউই চায় না বিধানসভা ভেঙে দেওয়া হোক বা এখনই নির্বাচন হোক।’’ নিজের অনুগামীদের বাড়িতে যেতে না দিয়ে হোটেলে রেখে দিলেও গহলৌত তাঁদের বলেন, কারও উপরে কোনও চাপ নেই। সকলের সঙ্গে নিজের ফোন রয়েছে। কিন্তু পাইলট শিবিরের অনেক বিধায়কের ফোন কেড়ে নেওয়া হয়েছে। তাঁরা কংগ্রেস নেতৃত্বকে ফোন করছেন। এই টানাপড়েন থেকে মুক্তি চাইছেন।

সচিনের অনুগামীদের মধ্যে ভাঁওয়ারলাল শর্মা বিজেপি নেতাদের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন নিয়ে কথাবার্তা বলেছিলেন বলে অডিয়ো টেপ দেখিয়ে কংগ্রেস অভিযোগ তুলেছিল। তার তদন্তে রাজস্থান পুলিশ হরিয়ানার হোটেলে হানা দিলেও ভাঁওয়ারলালকে জেরা করতে পারেনি। আজ রাজস্থান পুলিশের ডিজি হরিয়ানা ও দিল্লি পুলিশের ডিজি-কে ফোন করে তদন্তে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement